‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি’

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ‘স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। তিনি বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানও চায়। খবর বিডিনিউজের।

‘কিন্তু মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। মিয়ানমার সরকার সেখানে কোনো মানবাধিকার গ্রুপকে প্রবেশ করতে দেয় না।’

গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে এসে বিকালে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী। তার আগে তিনি সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন জানায়, সকাল সোয়া ১০টায় পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছায়। দলটি ৪ নম্বর ক্যাম্পের এ/১ ব্লকে ডেটা রেজিস্ট্রেশন সেন্টার, ২ নম্বর ক্যাম্পের সি/১০ ব্লকের নারী কমিউনিটি সেন্টার, কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ সেন্টার এবং ৮ নম্বর ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ার পরিদর্শন করেন।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দুপর ২টার পর পরই কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আফরিন আক্তার বলেন, ‘আমরা শরণার্থী শিবিরগুলো ঘুরে দেখেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। ছোট ও জনবহুল দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশের এমন আতিথেয়তা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে।

‘২০১৭ থেকেই আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। এখন পর্যন্ত আমরা ২২০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সহযোগিতা দিয়েছি। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক করতেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক ইউনিটের প্রধান শ্যারিন ফিটজেরাল্ড, মার্কিন জনসংখ্যা, শরণার্থী এবং অভিবাসন ব্যুরোর ডেপুটি আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী টমাস ব্রাউনস, ইউএসএআইডির আঞ্চলিক মানবিক উপদেষ্টা অ্যান্ডরু শেফার, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের শরণার্থী সহকারী ইস্তেক আহমেদ।