রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

লাশ পায়নি পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি »

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে সুবাহু চাকমা গিরি (৫৫) নামে এক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কর্মী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সদস্য বলে জানিয়েছে দলটি। তবে এই ঘটনার সত্যতা এখনো নিশ্চিত করেনি নানিয়ারচর থানা পুলিশ ।

গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের রাঙিপাড়া বড়পুল পাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকা-ের জন্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলকে দায়ী করছে সংগঠনটি।

ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, সকালে সাংগঠনিক কাজে বের হওয়ার সময় ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক (তাদের ভাষায় ‘মুখোশ বাহিনী’) তার উপর হামলা চালায়। তিনি সেখানে মারা গেছেন বলে জেনেছি আমরা। নিহত সুবাহু চাকমা ওরফে গিরি চাকমা নানিয়াচর উপজেলার এগারেল ছড়ার মৃত বিরাজ মোহন চাকমার ছেলে বলে জানান তিনি।

ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নানিয়ারচর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জ্ঞান চাকমা বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে কেন তারা আমাদের দায়ী করছেন বুঝতে পারছি না। বিষয়টি তাদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলও হতে পারে।

নানিয়াচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। ঘটনাটি উপজেলা থেকে দুর্গম এলাকায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে গিয়ে কোন মৃতদেহ পায়নি। খোঁজাখুঁজি করেও মৃতদেহ না পেয়ে ফিরে এসেছে আমাদের ফোর্স।’

এদিকে ইউপিডিএফ এর রাঙামাটি জেলা সংগঠক শান্তিদেব চাকমা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই হত্যাকা-ের জন্য সরকার সমর্থিত ‘নব্যমুখোশ’ বাহিনীকে দায়ী করে এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন। একইসাথে তিনি উক্ত হত্যার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক ও সরকারের জুম্ম দিয়ে জুম্ম ধ্বংসের নীলনকশার বাস্তব রূপায়ন উল্লেখ করে বলেন, শাসকগোষ্ঠী ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান গণআন্দোলন দমনের জন্যই সশস্ত্র ঠ্যাঙারে বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে একের পর এক ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীকে হত্যা করছে।

‘খুন, গুম, অপহরণ করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যাবে না’ বলে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগামের জনগণের বেঁচে থাকার মৌলিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে সুবাহু চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করার এবং খুনি-সন্ত্রাসীদের মদদদান বন্ধ করার দাবি জানান।