রক্তিম সুশীলও চলে গেলেন

চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন রক্তিম

সুপ্রভাত রিপোর্ট »

সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যুর পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরেক ভাই রক্তিম সুশীল।

টানা ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত রক্তিম সুশীল (৩১) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

১৩ ফেব্রুয়ারি রক্তিমকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি গুরুতর আহত রক্তিমকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরে জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সর্বশেষ চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

সদ্য প্রয়াত বাবা সুরেশ চন্দ্রের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় পিকআপ ভ্যানচাপায় পাঁচ ভাই অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯) নিহত হন। ঘটনার ১০ দিন আগে তাদের বাবা সুরেশের মৃত্যু হয়। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা বাড়িতে সমবেত হয়েছিলেন। স্থানীয় একটি মন্দিরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শেষে একসঙ্গে ৯ ভাই-বোন (৭ ভাই ও ২ বোন) হেঁটে বাড়িতে আসার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই একসঙ্গে চার জনের মৃত্যু হয়। ওইদিন বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক ভাই।

এ ঘটনায় অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান সুরেশ চন্দ্র সুশীলের মেয়ে মুন্নী সুশীল। আহত হন আরও দুই ছেলে ও এক মেয়ে। নিহতদের বোন হীরা শীল মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে।

বছর দুয়েক আগে অপর এক ভাই অসুস্থ হয়ে মারা যান। সবার ছোট প্লাবন এবার এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছিলেন।