যুক্তরাজ্যের চেম্বার ওয়েলস চট্টগ্রামে বিনিয়োগে আগ্রহী

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়

বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের চেম্বার ওয়েলস্’র নির্বাহী সভাপতি পিটার পল স্লেভিন বলেন, ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ব্যবসায়ের ক্রমাগত পরিসর বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং অংশীদারিত্বমূলক বিনিয়োগের কারণে চেম্বার ওয়েলস এর বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী। তিনি চট্টগ্রামে শিক্ষা, টেকনোলজি, হেলথ কেয়ার, শিপিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।

গতকাল মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে তার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, ইন্টারলিংক বিজনেস কনসালটেন্সি মাহবুব নূর, কনক্রিট ক্যানভাস গ্রুপের ড্যারেন হিউজস, আব্রাহাম ডিন এসোসিয়েট’র ডাইরেক্টর সাঈদ উদ্দিন, যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল রিক্রুটমেন্ট কনসালট্যান্ট’র সিইও নোমান রুহিদ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক শাহেদ সরোয়ার ও লিটল জুয়েল স্কুলের অধ্যক্ষ দিলরুবা আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে যুক্তরাজ্য। চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩.১ বিলিয়ন পাউন্ড যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ৯০১ মিলিয়ন পাউন্ড আমদানি করা হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে বিনিয়োগ এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির দারুণ সুযোগ রয়েছে। সরকার দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করতে ১০০টি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল ঘোষণা করার ফলে চট্টগ্রাম দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে পরিণত হয়েছে। তাই চট্টগ্রামের ভৌগোলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যের চেম্বার ওয়েলস’র প্রতিনিধিদলকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান চেম্বার সভাপতি।

চেম্বার সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। যার মধ্যে দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেল উল্লেখযোগ্য। তিনি চট্টগ্রামে হেলথ এবং এডুকেশন সেক্টরে সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

ইন্টারলিংক বিজনেস কনসালটেন্সি মাহবুব নূর বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য চেম্বার ওয়েলস’র মধ্যে এসএমই সেক্টরে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের বিটুবি আলোচনার মাধ্যমে উভয়দেশের মধ্যে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বাড়বে। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার এবং চেম্বার ওয়েলস’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে চেম্বারের পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং ওয়েলস’র পক্ষে পিটার পল স্লেভিন স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ কে এম আক্তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, সাজির আহমেদ, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস এম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), এইচআরসি’র সিনিয়র পরিচালক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ ও চেম্বার ওয়েলস প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি