সমুদ্র উপকূলে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণে আর বাধা রইল না

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ইনানীর ইমামের ডেইল নামক স্থানে লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ নভেম্বর বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত ব্যাঞ্চ এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ইমামের ডেইল বিচে বিরল প্রজাতির লাল কাঁকড়ার অভূতপূর্ব বিচরণ ক্ষেত্র দৃশ্যমান হয়। উক্ত লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এই উদ্যোগে বাদ সাধে পরিবেশজীবী। তারা বাধা হয়ে দাড়াল এই জনস্বার্থ ও পরিবেশসম্মত উদ্যোগ থেকে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সরে পড়ে। ফলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে একটি বড়ো সম্ভাবনা বন্ধ হবার উপক্রম হয়। অনন্যোপায় হয়ে কক্সবাজারের মানুষ ও পর্যটনের স্বার্থে এই লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য প্রশাসনের সচিব পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দেয় কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম। পরে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা উক্ত লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য দাবি তুলেন।

এ ব্যাপারে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক, কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে এবং টেলিভিশনসমূহ সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করে। এসব কিছু নাগরিক ফোরাম হাইকোর্টের নজরে আনলে হাইকোর্ট রোববার শুনানি শেষে আবেদন নিষ্পত্তি করে আইনানুগভাবে ইমামের ডেইলে লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ আদেশ প্রদান করেন। এখন উক্ত লাল কাঁকড়া বিচ সংরক্ষণে আর বাধা রইল না।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, এ কক্সবাজারের মানুষ এই লাল কাঁকড়ার ব্যাপারে খুবই পজেটিভ।

কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত আমাদের অহংকার, এই লাল কাঁকড়া বিচ এই বিচের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আকর্ষণ বাড়াবে বহুগুণ। জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে নিঃসন্দেহে। আমরা মহামান্য হাইকোর্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অজিহা আক্তার মালা।