মেধাবীদের চুয়েটে সুযোগ দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

সমন্বয় সভায় চুয়েট উপাচার্য

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এর আসন্ন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ/লেভেল-১ এর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ১৩ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে গতকাল রোববার  বিকাল ৩ টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের সাথে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নগরীর দ্যা ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি), চট্টগ্রাম কেন্দ্রস্থ চুয়েট রিসোর্স সেন্টারে আয়োজিত উক্ত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

উল্লেখ্য, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েটের ৯০১টি, কুয়েটের ১০৬৫টি এবং রুয়েটের ১২৩৫টি সর্বমোট ৩২০১টি আসনের বিপরীতে মোট ২৫ হাজার ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এরমধ্যে ক/ক গ্রুপে (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) মোট ২২ হাজার ৬১০ জন এবং খ/ক গ্রুপে (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ) মোট ৩ হাজার ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে চুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ বিভাগে ৭ হাজার ৪৫৫ জন এবং ‘খ’ বিভাগে ১ হাজার ৪৫ জন মোট ৮ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষাথী, কুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ বিভাগে ৬ হাজার ৯৬৩ জন এবং ‘খ’ বিভাগে ৯৮৪ জন পরীক্ষার্থী, রুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ বিভাগে ৮ হাজার ১৯২ জন এবং ‘খ’ বিভাগে ১ হাজার ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত, গঈছ পদ্ধতিতে ‘ক’ বিভাগের পরীক্ষা সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২.৩০ টা পর্যন্ত এবং ‘খ’ বিভাগের পরীক্ষা সকাল ১০.০০ টা থেকে বেলা ০১.৪৫ টা পর্যন্ত একটানা অনুষ্ঠিত হবে।

সমন্বয় সভায় আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে চুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিয়য়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি  সেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘চুয়েট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ। চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন উপায়ে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সারাদেশে একটি সুনাম ও আস্থা অর্জন করেছে। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় আমরা সেই সুনাম অক্ষুণœ রাখতে বদ্ধপরিকর। চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য তুলনামূলক ভর্তি পরীক্ষার চেয়ে ব্যতিক্রমী ধারায় হওয়াতে এখানে অসদুপায় অবলম্বলের কোন সুযোগ নেই। দেশের যে কোন প্রান্তের প্রকৃত মেধারী শিক্ষার্থীদের চুয়েটে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

চুয়েট ভিসি আরো বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি ভর্তি পরীক্ষার দিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহর থেকে পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকবৃন্দসহ আনুমানিক ২০ হাজারের অধিক লোকজন চুয়েট ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করবেন। সেজন্য ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সমাপ্তি করার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখাসহ প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সহযোগিতা ও নির্দেশনা প্রত্যাশা করছি।’

সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) মো. আনিসুজ্জামান খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্ব-স্ব প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।