ভিসানীতিতে হাঁটু কাঁপছে আওয়ামী লীগের

তারুণ্যের সমাবেশে মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক »

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা জনগণকে ক্ষমতায় নিতে চাই। এখন আর দিনের ভোট রাতে হবে না। জনগণ তা হতে দেবে না। জনগণ এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হারানো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে।’

গতকাল বুধবার নগরীর কাজীর দেউড়িতে ‘দেশ বাঁচাতে যুব সমাবেশ ’ শীর্ষক তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। আজ তারা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়, অথচ দেশের তরুণরা চাকরি পায় না। ব্যবসা করতে পারে না। লবণের দাম বেড়েছে, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে। আজ দেশের মানুষ দিশেহারা। মানুষের কোথাও শান্তি নেই। আমরা কি এমন দেশ চেয়েছিলাম? আমরা গণতান্ত্রিক দেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ দেশে গণতন্ত্র নেই।’

ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের আমলে ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নয়শোর বেশি মানুষ গুম হয়েছে। জনগণ এখন তাদের জানমাল নিয়ে চিন্তিত। সরকারের মুখে গণতন্ত্র শব্দটি মানায় না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা বলে আমরা ভয় পাই না। কিন্তু ভিসানীতিতে এমন ভয় পেয়েছে যে হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। আজকে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে কারাগারে অনেক দিন আটক করে রাখা হয়েছিল। বারবার বলেছি, তাকে মুক্তি দিন। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।’

যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের কোন সমর্থন নেই। যারা রাতে ভোটে চুরি করে তাদেরকে জনগণ আর বিশ্বাস করে না। তাদের পালানোর সময় হয়ে গেছে। আজ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। জনগণের সামনে আর তারা দাঁড়াতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে খেলতে বলছে, এখানে আমি বলবো খেলা শেষ। তাদের এখন জিরো স্কোর। জিরো স্কোরে খেলা হয় না।’

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে ক্ষমতার অপব্যবহারের জবাব দিতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আজ পর্যবেক্ষণ করছি, জনগণ কাউকে ছাড় দেবে না।’
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সরকার বলছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবে। অথচ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নেই। জনগণের দেয়া এ টাকা গেছে কই? আজ মেধাবীদের কোনো চাকরি নেই। ’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর নাছির উদ্দিন, আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ নেতৃবৃন্দ।