ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক »
পৌষ শেষ, মাঘের শুরু। এ সময় শীতকালীন সবজিতে ভরপুর থাকে বাজার। দাম থাকে নাগালের মধ্যে। কিন্তু সবজিতে বাজার ভারপুর থাকলেও দামে স্বস্তি ফিরেছে না ভোক্তাদের।
অন্যদিকে ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে লকডাউন দিলে দাম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ক্রেতাদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। সেই সাথে ডিমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে কিছুটা। প্রতি কেজি টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ও বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও বরবটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস-ডিমের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমে বেড়েছে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে ৯৫ টাকায় ডজনপ্রতি বিক্রি হওয়া ডিম আজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামে রয়েছে অপরিবর্তিত। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৪০, সোনালী ২৮০ থেকে ৩শ’ ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৬০ টাকা, পারিজা ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ টাকা, বাসমতি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেসরকারি চাকুরিজীবী মোহাম্মদ জামাল শেখ নামে এক ক্রেতা সুপ্রভাতকে বলেন, প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ে। জানুয়ারি আসার সাথে সাথে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। বেতন তো বাড়ে না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবার ওমিক্রন এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। লকডাউন বা হাফ লকডাউন দিলে আবারো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় আমাদের তো না খেয়ে মরে যেতে হবে। সরকার পক্ষে থেকেও বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
রিয়াজউদ্দীন বাজারে সবজি বিক্রেতা মোজাম্মেল বলেন, ‘বাজারে সবজি প্রচুর আছে। এসময়ে সবজি আরো আসছে। তবুও দাম বাড়তি। দাম বাড়তি হওয়ার কারণ, সবজি আনতে এখন আমাদের অনেক খরচ হয়। গাড়ি ভাড়া বাড়তি। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’