বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নীলনকশার মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয় : বিভাগীয় কমিশনার

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশকে স্বাধীন করার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তার আগমুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এজেন্টদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা তৈরি করে। তার অংশ হিসেবে তারা প্রায় ১ হাজার ৫শ’ দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক এমনকি প্রগতিশীল লোককেও তার হত্যা করে।

তিনি গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন।

বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সে যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, কেউ বা ঘরে আশ্রয় দিয়ে আবার কেউ বা তথ্য কিংবা খাবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিল। এদের মধ্যে আর একটা শ্রেণি ছিল যারা দেশে বসবাস করে পাকিস্তনিদের এজেন্ট হিসেবে দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

সভায় অন্যান্য বক্তা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রচেষ্টা চলছে ঠিক তখন ঘাতকরা জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি বিস্ময়ের নাম। এখন পাকিস্তানিরা তাদের সরকারের কাছে দাবি করে পাকিস্তানকে যেন বাংলাদেশের অর্থনীতির মতন শক্তিশালী করে।

বাংলাদেশে বসবাস করে যারা এখনো দেশের স্বাধীনতা ও অগ্রগতিকে মেনে নিতে চায় না, সেই রাজাকার-আল বদরের সন্তানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে দেশবিরোধী অপশক্তির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান বক্তারা। বিজ্ঞপ্তি