বারবিকিউর ময়লায় নোংরা হচ্ছে ক্যাম্পাস

অস্বস্তিতে চবি শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি »
শীতকাল আসলেই চারিপাশে বারবিকিউর ধুম পড়ে যায়। এর ব্যতিক্রম নয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও (চবি)। প্রতিবছর শীত আসলেই রাতে বারবিকিউ উৎসবে মেতে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু এসব আয়োজিত বারবিকিউ পার্টিগুলোই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী বিশেষ করে ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থীদের। এর কারণ বারবিকিউ আয়োজনের পর উচ্ছিষ্ট ময়লাসমূহ পরিষ্কার না করে যত্রতত্র ফেলে রেখে চলে যায় আয়োজনকারীরা।
জানা গেছে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রায় সকল বারবিকিউ পার্টিই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও জিমনেশিয়াম সংলগ্ন বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে আয়োজিত হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রাতের বেলা বারবিকিউ আয়োজনের পর উচ্ছিষ্ট ময়লাসমূহ পরিষ্কার না করে যত্রতত্র ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় আয়োজনকারীরা। যার ফলে চরম অস্বস্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে উল্লেখিত জায়গায় নিয়মিত খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসের যেখানে সেখানে এসব ময়লা পড়ে থাকার ফলে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন ঘুরতে আসা পর্যটকরা।
সরেজমিনে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ডের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র পড়ে আছে ময়লা ও উচ্ছিষ্ট সামগ্রী, যা সব আগের রাতে কিংবা কয়েক রাত আগে বারবিকিউ করে ফেলে রাখা হয়েছে। যার ফলে চরম অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে নিয়মিত খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের। এমতাবস্থায় বারবিকিউ শেষে নিজেরাই যেন ময়লা পরিষ্কার করে খেলার মাঠের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা যায় সে লক্ষ্যে কঠোর নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লোকমান হাদি জারিফ সুপ্রভাতকে বলেন, নিয়মিত বিকেলে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে খেলাধুলা করি। কিন্তু শীত আসার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে যে গ্রাউন্ডের বিভিন্ন জায়গায় রাতের বেলা বারবিকিউ করে ময়লাসমূহ সেখানে ফেলে রেখে দিয়েই চলে যায়। যার ফলে খেলাধুলা করতে পারি না। এমতাবস্থায় প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা প্রদান করে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।
এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাখন চন্দ্র রায় বলেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষিত করার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ক্যাম্পাসে এইসব বারবিকিউ যারা আয়োজন করে তাদের সিংহভাগই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী। যে কোনো আয়োজনের সাথে সাথে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি বলে মনে করি। আশা করি আয়োজকরা প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকে আরও বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম সুপ্রভাতকে বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেব এবং এটা বাস্তবায়ন করার জন্য গার্ড নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়াও বারবিকিউ করার জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।