বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক »

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। এছাড়া টানা দুই সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার উর্ধ্বে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার ও ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগিতে ৫ থেকে ১০ বেড়ে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে চাহিদার তুলনায়সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এ সপ্তাহে প্রতি কেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার উর্ধ্বে। চড়া দামে সবজি বিক্রি হওয়ায় অনেককে পছন্দের সবজি না কিনে চলে যেতে দেখা গেছে।বিক্রেতাদের দাবি, বৃষ্টিতে সবজির ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না হওয়ায় বেড়েছে সবজির দাম।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। এখনোপ্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে৪০থেকে ৫০ টাকায়।মানভেদে প্রতিকেজি টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ১০ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৪৫টাকা, কাঁকরোল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, খিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, এবং তিতকরলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। প্রতি আঁটি লাল শাকের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা, কুমড়ো শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পাট শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায় ।
চলতি সপ্তাহেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।পেঁয়াজের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৭ টাকায়, খোলা পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত পুষ্টি ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, তীর ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা এবং রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৩ টাকায়। এছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত বসুন্ধরা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৯০ থেকে ৭০০ টাকা, পুষ্টি সয়াবিন তেল ৬৯০ থেকে ৭১০ টাকা এবং রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭১০ থেকে ৭২০ টাকায়।
আকারভেদে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা। ছোট আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বড় আকারের রুই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, বড় আকারের কাতলা ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাঝারি আকারের মৃগেল মাছ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পাংগাস ১২০ টাকা, পাবদা ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, শিং মাছ আকারভেদে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রূপচান্দা মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং প্রতিকেজি কোরাল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।