‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’

নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, আর্দশ ও দেশপ্রেম শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজে নবরূপে নান্দনিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’।কলেজের লাইব্রেরি ভবনে স্থাপিত কর্নারটি সোমবার সকালে কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. সুব্রত বরণ বড়ুয়া উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান ছরওয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর আবুবকর মজুমদার, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও লাইব্রেরি কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ ফখরুল মাওলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. আাবদুল খালেক, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ফরিদুল আলম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রদীপ কুমার দেব, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বজিত দাশ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল্লা হিল হোসাইন চৌধুরী, মুহাম্মদ জানে আলম, কে এম আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান, মো. ফোরকান, দেওয়ান মো. জানে আলম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিঞা, প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, গুলনাহার আক্তার, মো. মিজান উদ্দীন খান, ইশতিয়াক ইবনে ওয়াহিদ, নিলুফা ইয়ামিন, আবুবকর, শেফায়াত হোসেন, নূপুর শর্মা, চৈতী বড়ুয়া, মো. রহমত উল্লাহ, ইসরাত জাহান, ইয়াছমিন আক্তার, উজ্জ্বল বড়ুয়া, মো. কামরুজ্জামান, মো. সোহেল, সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. শফিউল আলম, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. সাইফুল বাবু, যুগ্ম আহবায়ক মো. আবিদুল ইসলাম ও সাফাতুন নুর চৌধুরৗসহ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ।

নবরূপে নান্দনিকভাবে সাজানো কর্নারটি ইতোমধ্যে কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে কর্নারটি ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু কর্নারে রয়েছে একটি পাঠাগার, যেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই স্থান পেয়েছে। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ‘কারাগারের ‘রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’। বই পড়ার জন্য রয়েছে আসন ( চেয়ার-টেবিল)। দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর বিশাল পোরট্রেট ছাড়াও রয়েছে পারিবারিক ছবি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি, একনজরে বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত জীবনী, বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উক্তি, তাঁর জন্ম থেকে শাহাদাতবরণ পর্যন্ত গোটা ইতিহাসের একটি ধারাবাহিক চিত্র সুদৃশ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এতে। ছাত্রছাত্রীরা কর্নারে বসে লাইব্রেরিতে রক্ষিত বইপাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু কর্নারে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর দুই শতাধিক বইও স্থান পেয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনের জন্য কলেজ অধ্যক্ষসহ শিক্ষকম-লীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদা আকতার জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সকল শিক্ষার্থীর সম্যক ধারণা থাকা উচিত। এই কর্নারটি স্থাপনের মাধ্যমে কলেজের সকল ছাত্রছাত্রীর খুব সহজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞানলাভের পথ সুগম হলো।

কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও লাইব্রেরি কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ ফখরুল মাওলা বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপনে বর্তমান সরকারের একটি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আমরা এই কলেজে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক আগে থেকেই এই কর্নারের কার্যক্রম শুরু করি এবং একটি সমৃদ্ধ ও দৃষ্টিনন্দন কর্নার স্থাপনে সক্ষম হই।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. আবদুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের কর্নার স্থাপিত হওয়ায় ছাত্রছাত্রীসহ সকলেই বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে ও তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।

গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. সুব্রত বরণ বড়ুয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছবি স্থান পেয়েছে। এছাড়াও জন্মের পর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সন ও তারিখ উল্লেখ করে একনজরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সংরক্ষণ করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত হবে। তাঁর চেতনা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই কর্নারের সমৃদ্ধ আয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে চিন্তার খোরাক যোগাবে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় তিনি এই কর্নার স্থাপনে জড়িত সকল অধ্যাপককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যাপকবৃন্দ, অনুষদ সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্নারে প্রায় দুই শতাধিক বই, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণসহ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোকচিত্র ও প্রামান্যচিত্র রয়েছে।