ফুটওভার ব্রিজে দুর্ভোগ

হুমাইরা তাজরিন »

ব্যস্ত রাস্তায় পারাপার নির্বিঘ্ন করতে স্থাপন করা হয় ফুটওভার ব্রিজ। পথচারীরা সহজে দুর্ঘটনা এড়িয়ে ফুটওভার ব্রিজের মাধ্যমে রাস্তা পার হন। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ যদি ছাউনিবিহীন হয় বৃষ্টিতে সেটিই দুর্ঘটনা প্রবণ স্থানে পরিণত হয়। মুরাদপুর মোড়ের ফুট ওভারব্রিজটি এমনই একটি ফুটওভার ব্রিজ। যেখানে ছাউনি না থাকায় বৃষ্টিতে পানি জমে বহুদিনের ধুলোবালি কাদায় পরিণত হয়। প্রতিনিয়ত যেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। বিকল্প পারাপারের জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ফুটওভার ব্রিজটি পার হচ্ছেন পথচারীরা। ফুট ওভারব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে গতকাল বেলা ৪টায় দুর্ভোগ নিয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন তন্ময় ঘোষ নামের এক পথচারী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম ফুটওভার ব্রিজটিতে ছাউনি না থাকায় বহুদিনের ধুলোবালি বৃষ্টিতে কাদায় পরিণত হয়েছে। ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়ি ছাড়াও সমতল স্থানে পানি জমে আছে। বিকল্প কোনো পারাপারের রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে ওভার ব্রিজটি পার হচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। কিন্তু পার হতে গিয়ে প্রায়ই পা পিছলে যাচ্ছে পথচারীদের। এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধ এবং অসুস্থরা পড়ছেন সবচেয়ে বিপাকে। রাত হলে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে ঝুঁকি বাড়ে বেশ কয়েকগুণ। সেই সাথে সেখানে নির্দিষ্ট ভিক্ষুক ও ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা জড়ো হন। সবমিলিয়ে এই ফুটওভার ব্রিজ পারাপারে সুবিধার চাইতে ভোগান্তিই বেশি বলছেন পথচারীরা।

শুক্রবার ৯ জুন বিকাল ৪টার দিকে দেখা যায়, জাফর উল্লাহ নামের একজন বৃদ্ধ স্ট্রেচারে ভর করে ফুটওভার ব্রিজে উঠলেন। এক হাতে স্ট্রেচার ধরে ডান পায়ে ভর দিতেই তার পা পিছলে যাচ্ছিলো। বহু কষ্টে তিনি ফুটওভার ব্রিজ পার হলেন। কেবল জাফর উল্লাহ নন , মোমেনা বেগম তার সন্তান আকিফকে নিয়ে ফুটওভার ব্রিজে উঠার পর আকিফের পা পিছলে যায়। মায়ের সহযোগিতায় সে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।

পথচারী তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘মুরাদপুরের এই ফুটওভার ব্রিজটি বোধহয় সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ততম। কিন্তু বর্ষার মৌসুম এসে গেছে, এখানে কোনো ছাউনি নেই। যার কারণে পানি জমে কাদায় দুর্ঘটনা ঘটছে। রাত হলে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ঝুঁকি আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বিকল্প পারাপারের রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে ফুটওভার ব্রিজটি পার হতে হয়। কিন্তু প্রায় এখানে কারো না কারো পা পিছলে যায়। যদি এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসতো এবং এখানে পর্যাপ্ত আলো ও ছাউনির ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে দুর্ঘটনা কমে আসতো।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজে ছাউনি দিলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। যেমন ভিক্ষুকেরা সেখানে ভিড় করে। কখনও মাদকের আড্ডা বসে। সবসময় এসব মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তবে বিষয়টা নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। আমি কালকেই এ ব্যাপারে খোঁজ নেবো। আমাদের কাজই তো নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধার কথা ভাবা। ’