পাহাড়ের ১৮০ স্থাপনা উচ্ছেদ

বসতি ঠেকাতে দেয়া হবে কাঁটাতার : ডিসি

নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নির্দেশে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আকবর শাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজ শাহ’র ১ নম্বর ঝিল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১৮০টি অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ঘর অপসারণসহ ১২০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। অভিযান চলাকালে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের সমন্বয়ে আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানা ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারূফা বেগম নেলী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, সিএমপি’র পদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, তারা ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে যাতে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষ আশ্রয় নিতে পারে। পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সকলকে পাহাড় থেকে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রতিনিয়ত মাইকিং ও ঘরে ঘরে গিয়ে আহ্বান জানাচ্ছে যাতে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পারে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ যে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সেখানে পুনরায় কেউ যাতে দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য কাঁটাতার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে গাছ লাগানো হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। যদি কেউ এ সীমানা ভেঙে বসতি গড়ে তুলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও বলেছি তাদের আওতাধীন পাহাড়ি জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করতে। পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞপ্তি