পর্যটক বরণে প্রস্তুত বান্দরবান

এন এ জাকির, বান্দরবান »
দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত বান্দরবানের পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতি বছর হাজারো পর্যটকের আনাগোনা থাকে। কিন্তু করোনার কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিল জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র গুলো। দীর্ঘদিন পর আজ ১৯ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল পর্যটন স্পট খুলে দেয়ায় স্বস্তি এসেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা হোটেল মোটেল রিসোর্ট রেস্তোরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পর্যটকদের থাকার উপযোগী করে তুলেছে ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পর্যটন স্পটগুলো মেঘলা, নীলাচল, নীলগীরী, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিকলেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সাজানো হয়েছে।
জেলার পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটন মৌসুমে জেলা শহর ও উপজেলার প্রায় ৬০টি আবাসিক হোটেল-মোটেলে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসে। পর্যটকদের সেবায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন কর্মী, ৩৫০ জন ট্যুরিস্ট গাইড, পাঁচ শতাধিক গাড়ি চালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। তারা সবাই এতদিন কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
হোটেল স্বর্ণ শিলার মালিক মানিক দাশ জানান দীর্ঘ দিন ধরে হোটেল বন্ধ থাকায় আমরা লোকসানে পড়ে গেছি। হোটেল ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন বাকী পড়ে আছে। পর্যটন খুলে দেয়ায় কিছুটা আশা ফিরে পেয়েছি, কারণ পর্যটন স্পট খুলে দেয়াতে কিছুটা হলেও লোকসান পুষিয়ে আনতে পারবো এবং অনেকে এটার সাথে জড়িত তাদেরও কর্মসংস্থান হবে।
শ্রমিক নেতা বাহাদুর জানান করোনার কারণে আমাদের প্রায় ৫শ চালক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পর্যটক না আসলে আমাদের গাড়ি চলে না। পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় পর্যটকের আগমন ঘটবে। আমাদের গাড়িগুলো সচল হবে চালকরা আবার কাজে ফিরতে পারবে।
বান্দরবান আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলায় কর্মসংস্থান ও আয়ের বড় খাত হচ্ছে পর্যটন। পর্যটনের সাথে জেলার প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ আর্থিকভাবে জড়িত। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় অনেকেই পর্যটন খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুব খুশি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান বলেন, সারাদেশের ন্যায় বান্দরবান জেলায়ও পর্যটন স্পটগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়া নজরদারি থাকবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।