ওয়াসার প্রকল্পের কী হবে তাহলে

লেজেগোবরে অবস্থা হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি প্রকল্পের। দীর্ঘসূত্রতা ও কাজের শম্বুক গতির কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে একটি দরকারি প্রকল্প।
১৯৬৩ সালে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন (স্যুয়ারেজ) প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রামের হালিশহরে ১৬৩ দশমিক ৮৫৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা।দীর্ঘদিন প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় ১৯৭০ সালের ৫ আগস্ট অধিগ্রহণ করা জমি থেকে ১৩৪ দশমিক ১৪৫ একর জমি ‘ডি-রিকুইজিশনের’ বা অবমুক্তির আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক।সেই জমিতেই ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা! তবে বিষয়টি সমাধানে স্থানীয়রা আদালতে মামলা দায়ের করলে ৪ এপ্রিল ওয়াসার এ প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। এতে চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
তবে চট্টগ্রাম ওয়াসা দীর্ঘদিনেও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করায় অধিগ্রহণ করা জমি ফেরত চেয়ে ২০০১ সালে হাইকোর্টে রিট (রিট নং-৪১২৭/১) আবেদন করেন স্থানীয়রা। রিটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম ওয়াসাকে বিবাদী করা হয়। ২০১৪ সালে হাইকোর্ট ভুল জরিপ সংশোধন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে নির্দেশ দেন।এরপর ওয়াসার পক্ষ থেকে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করা হয়। যদিও ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট উল্লিখিত রিট আদেশ বহাল রাখলে ফলাফল স্থানীয়দের পক্ষে যায়।
যদিও প্রকল্পের কাজের জন্য চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার তায়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে ঠিকাদার নিয়োগ দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটের কাজও করা হচ্ছে।
এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে এই প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞজনেরা।