মিতু হত্যা : বাবুলের জামিন ফের নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক »
স্ত্রী খুনের মামলায় গ্রেফতার সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
সরকারি কুশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ (বুধবার) আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। এতে রাষ্ট্রপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী শুনানিতে জামিনের বিরোধীতা করেন। তার সহযোগিতায় ছিলেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহম্মদ শাকিল, মো. সাহাব উদ্দিন। আদালত শুনানি শেষে বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ১০ আগস্ট গ্রেফতারের পর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. শফি উদ্দিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। গ্রেফতারের পর ওইদিনই প্রথমবার বাবুলের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ৫ জুন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। সাবেক পুলিশ সুপার স্বামী বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যাকাণ্ড মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা পুলিশের এ মামলার তদন্তে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছরই এই খুনে বাবুল জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। চার বছর পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে গত বছরের মে মাস থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত শুরু করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআই ওপর। এরপর থেকে উঠে আসতে থাকে বিভিন্ন ঘটনা।
চলতি বছরের ১১ মে বাবুলকে পিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১২ মে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে পিবিআই। এতে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বামী বাবুলের তিন লাখ টাকার বিনিময়ে খুন হন স্ত্রী মিতু। একই দিনে শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলার বাকি আসামি হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া। এ মামলায় বাবুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু এতে তিনি জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। ১৭ মে থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।