পর্যটকদের টানছে স্বর্গপুর ঝর্না

কাপ্তাই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাপ্তাই »

বিনোদন প্রেমীদের আকৃষ্ট করছে মনোরম বিলাইছড়ির স্বর্গপুর ঝর্না। প্রতিদিন শতশত পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসু প্রিয়জনকে নিয়ে কাপ্তাই ও রাঙামাটি থেকে নৌপথে প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে বিলাইছড়ি ছুটে যাচ্ছেন। পর্যটকদের অনায়াসে ঘুরে বেড়ানোর লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায় পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

জানা গেছে, নৈসর্গিক সৌন্দর্যম-িত বিলাইছড়ি উপজেলার ১ নম্বর সদর ইউনিয়ন এর ২ নম্বর ওয়ার্ড ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজাছড়া ও দীঘলছড়ি ঢেবার মাথার মাঝামাঝি বিলাইছড়ি পাহাড় ও দীঘলছড়ি পাহাড়ের পাদদেশে ৭টি ঝর্না অবস্থিত। ঝর্না হতে বছর জুড়ে ঝিরিঝিরি শব্দে পানি প্রবাহিত হয়ে জলরাশি একীভূত হয়ে মিশে গেছে কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশিতে। এখানে দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে যে স্বচ্ছ জলস্রোতে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ পাথরে আবৃত পথে রয়েছে বিশ এর অধিক প্রাকৃতিক সুইমিং পুল।

স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিলাইছড়ি স্বর্গপুর ঝর্নার কাছে মনোরম স্বর্গপুর বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। এ জায়গায় এক সময় এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ধ্যান করতেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি শ্রদ্ধার জায়গা।

ঝর্না দেখতে আসা গাজীপুরের হানিফ মিয়া, কুষ্টিয়ার সুমন জানান, প্রতিটি ঝর্না দিয়ে অবিরাম ধারায় পানি পড়ছে, মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেছে। রাঙামাটি সদর কিংবা কাপ্তাই জেটিঘাট হতে ইঞ্জিন চালিত বোটে ঘণ্টা দেড়েক পর বিলাইছড়ি উপজেলায় পৌঁছাতে হয়। এরপর বিলাইছড়ি সদর হতে ধুপ্যাচর, দীঘলছড়ি পার হয়ে ২০ মিনিট ইঞ্জিন চালিত বোটে পাড়ি দিয়ে ঢেবার মাথা যাওয়ার পর আরোও ৩০ মিনিট পায়ে হেঁটে এই ঝর্নায় পৌঁছানো যায়।

স্থানীয় গ্রাম প্রধান বরুণ কার্বারী বলেন, ঝর্নাগুলো খুব সুন্দর। এইখানে লোকজন আসছে, খুব ভালো লাগছে।

বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান বলেন, ঝর্নাগুলো পর্যটকদের আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এ এলাকায় আসার রাস্তা খুবই নাজুক। সরকার যদি রাস্তাঘাট নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এই এলাকার পর্যটন শিল্পে বিকশিত হবে।

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিলাইছড়ি উপজেলায় অনেকগুলো ছোট বড় ঝর্না রয়েছে, যা দেশের অন্য কোন উপজেলায় নেই। এছাড়া এ উপজেলায় রয়েছে পাহাড় হ্রদে আর সবুজের অনন্য সমন্বয়। স্বর্গের মত সুন্দর এ জায়গাগুলোর উন্নয়ন সাধন ও এখানে কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠা করে এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ও জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।