নুরুচ্ছফা তালুকদারের মধ্যে ছিল না অহমিকা : মেয়র

সিটি করপোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার ছিলেন একজন অমায়িক, সজ্জন ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। এতবড় আইনজীবী হয়েও উনার মধ্যে কখনো অহমিকা ছিল না। এজন্য মৃত্যুর পরও আজকে অকৃপণচিত্তে তাঁকে স্মরণ করতে হচ্ছে। তাঁর কীর্তিগুলো থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আমরাও যদি নুরুচ্ছফা তালুকদারের মত মানুষদের পথ অনুসরণ করি তাহলে সেই ধরনের কীর্তিমান হওয়া সম্ভব হবে।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পিতা অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার স্মৃতি সংসদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সংগঠনের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি চন্দন দাশ, আবদুর রশিদ, অশোক কুমার দাশ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এইচএম জিয়া উদ্দিন ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, অ্যাডভোকেট এম এ নাসের চৌধুরী, চন্দন তালুকদার, হুমায়ুন রশিদ রুবেল, রবিউল আলম, কাজী একতিয়ার উদ্দিন, সুভাষ বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু প্রমুখ।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, নিজ নিজ পেশায় শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা এসেছি মানুষকে কিছু দেয়ার জন্য, কিছু গড়ার জন্য। একটু খ্যাতি অর্জন করলে অনেক সময় আমরা নিজেকে অনেক কিছু মনে করি, আমাদের মধ্যে অহমিকা এসে যায়। এটাই মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। এটা করতে গিয়ে অনেক সময় অপমানিত হতে হয়। অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের মাঝে এ ধরনের অহমিকা ছিল না বলেই তিনি আজ আমাদের কাছে কীর্তিমান।
তিনি বলেন, যারা সমাজে কিছুটা অবদান রেখে যান আমরা তাদেরকে স্মরণ করি। কারণ এই স্মরণসভায় তার আদর্শ নীতি-নৈতিকতা আচার-আচরণগুলো নিয়েই আমরা আলোচনা করি। এ থেকেই আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি। অনেক সময় আমরা আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা থেকে কিছুটা বিচ্যুত হই। এ কারণেই আমরা অনেকে বিপদগ্রস্ত হই। তাই বরণীয় ব্যক্তিদের স্মরণের মাধ্যমে আমাদের চেতনা শাণিত করা দরকার। বিজ্ঞপ্তি