নিষ্ঠা ও সততার প্রতীক আবু সালেহ

শোক সভায় আমির হোসেন আমু এমপি

‘রাজনীতির দুঃসময়ে ঝুঁকি নিয়ে যারা রাজনীতির পথকে সুগম করে গেছেন, আপোষহীন রাজনীতি করে দলকে সুসংগঠিত করেছেন, তাদের অবদান ম্লান হবার নয়। আমাদের ধ্যানে জ্ঞানে মনে তাদের স্মৃতি আমৃত্যু জাগরুক থাকবে। আজকের আওয়ামী লীগ যে সকল দেশপ্রেমিক, সাহসী, সৎ ও আদর্শবান নেতাদের মেধা শ্রমে গড়ে উঠেছে আবু সালেহ তাদের মধ্যে অন্যতম। সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থেকে তিনি জনগণের ভালোবাসা গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। নিষ্ঠা ও সততার প্রতীক আবু সালেহ চির অম্লান হয়ে থাকবেন।’

গতকাল বিকাল ৩টায় নগরীর ষোলশহরস্থ চট্টগ্রাম এলজিইডি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক এম আবু ছালেহ এর মৃত্যুতে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুঃসময়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে যারা রাজনীতি করে, দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়ায় তারা আমাদের কাছে স্মরণীয় ও বরণীয়। আওয়ামী লীগে সফলতা দেখিয়েছেন আবু সালেহ। দায়িত্বশীল, সাহসী ও সহজেই কর্মীদের আকৃষ্ট করতে পারার সুবাদে হাজার হাজার কর্মী তার হাত ধরে এসে আজ আওয়ামী পরিবারে সম্পৃক্ত হয়েছে। জিয়ার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে দলকে সংগঠিত করতে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। আবু সালেহ দলের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ, সফল, ত্যাগী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, আবু সালেহ কখনোই রাজনীতির মাঠে অসদাচরণ করেন নাই। একজন সাচ্চা আদর্শিক রাজনীতিকের যে গুণাবলী থাকা উচিত যেমন বিনয়, সততা, যোগ্যতা, পা-িত্য ও আপোষহীনতা সব তার মাঝে ছিল। তার শূন্যতা পূর্ণ করতে পারবোনা। সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত থেকে তিনি এক অসাধারণ নেতা ছিলেন। অর্থ লোভে পড়ে কখনো নীতি ও আদর্শচ্যুত হননি। আবু সালেহ এর মতো ত্যাগী নেতাদের মেধা-শ্রমে আওয়ামী লীগ আজকের শক্ত অবস্থানে এসেছে। তাদের অনুসরণ করে এই দলকে নিরাপদ রাখতে হবে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, চরম বাস্তবতায় কখনো কখনো রাজনীতির নিষ্ঠুর আচরণে ত্যাগী নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদরাও ব্যথিত হন। দুঃখ নিয়েও আবু সালেহ রাজনীতির মাঠে নিজের বিবেককে কখনোই বিসর্জন দেননি। সত্য পথে চলতে, সত্য কথা বলতে পারঙ্গম এই ব্যক্তিটি কখনো অসততা ও লোভের কাছে পরাজিত হননি যা বর্তমানে বিরল। অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পদ-পদবীর জন্য কখনোই রাজনীতি করেননি। তার পথ অনুসরণ করলে আমরা সকল অনিয়ম, অসততা, রাজনীতির বেচা-কেনা হতে নিজেদের দূরে রাখতে পারবো।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আজকের আওয়ামী লীগ বহু ত্যাগী, সৎ ও যোগ্য নেতাদের ঐতিহ্য বহন করছে। এই ঐতিহ্য আমাদের সম্পদ। একে ধরে রাখতে হবে। সে সময় তিনি ছিলেন সরলতা ও সততার প্রতীক। রাজনীতির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়ে তিনি উদার ও শর্তহীন কর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। সালেহ ভাইদের মত নেতারা আমাদের পথ দেখায়। স্বাধীনতার আদর্শই আবু সালেহের আদর্শ, আমাদের অস্তিত্ব জুড়ে এই অবিনাষী চেতনা সদা দিপ্যবান থাকবে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখে গেছেন তাদের অবদান নিয়ে কোন অস্তিত্ব ব্যাখ্যা বা প্রশ্ন তোলা অবান্তর।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউল রহমানের সঞ্চালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম, নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, নগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস, আবু সাঈদ, এস এম আবুল কালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রাশেদ মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, উত্তর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, দক্ষিণ জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়–য়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, ত্রাণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ হায়দার শাহীন, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, পটিয়া উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব সিআইপি, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, সদস্য আবু সুফিয়ান, সৈয়দুল মোস্তাফা চৌধুরী রাজু, ছিদ্দিক আহমদ বি.কম, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, আয়ুব আলী, মাহবুবুর রহমান শিবলী, এ কে আজাদ, মরহুম আবু সালেহ এর কন্যা ডা. মেহজাবীন তুলি, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, পৌরসভা মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, জাহেদুর রহমান সোহেল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি