নির্ধারিত সময়সীমার আগে শেষ হবে কাজ

‘টানেলের দুটি চ্যানেলের মধ্যে একটির কাজ শেষ, অন্যটি শুক্রবার শেষ হবে’

কর্ণফুলী টানেল

সুপ্রভাত ডেস্ক »
২০২২ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়সীমার অনেক আগেই কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা জানান। একনেক চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত চলতি অর্থ বছরের ৫ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় যোগ দেন। শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিবর্গ, প্রতিমন্ত্রীগণ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবর্গ ও সচিবগণ সভায় যোগ দেন। খবর বাসসের।
মন্ত্রী বলেন, টানেলের দু’টি চ্যানেলের মধ্যে একটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে এবং অন্যটি শিগগিরই, খুব সম্ভবত শুক্রবার সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করি, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের অনেক আগেই টানেল শেষ হয়ে যাবে… এটা সরকারের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। টানেলের প্রধান ভৌত কাঠামোর কাজ প্রায় শেষের দিকে, যদিও প্রকল্পটি কোনও সংশোধন দেয়নি, বরং কিছু সরকারি তহবিল সাশ্রয় হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সভায় ৬ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট নয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৩ হাজার ৭৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে, ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ২ হাজার ৭৮২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে পাওয়া যাবে। অনুমোদিত ৯টি প্রকল্পের মধ্যে চারটি প্রকল্প নতুন এবং ৫টি প্রকল্প সংশোধিত।
প্রধানমন্ত্রীর কিছু নির্দেশনার উল্লেখ করে মান্নান বলেন, নদীতে শিল্প বর্জ্য ফেলা এড়াতে মিল ও কারখানায় বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র (ইটিপি) এবং সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর প্রধানমন্ত্রী আবারও জোর দেন।
উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে আরও ঋণ নেওয়ার সুযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যদি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে বৈদেশিক তহবিল না পাওয়া যায়, তাহলে সরকার তার মজুদ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার করতে পারে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে উল্লেখ করেন, সরকারের উচিত দেশের প্রতিটি এলাকার প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ করা যাতে উন্নয়নের কাজ বিবেচনা করে কোনো এলাকার প্রতি অবিচার না হয়। মান্নান আরও বলেন, আমরাও বিষয়টি সম্পর্কে খুব সচেতন।
প্রধানমন্ত্রী নাব্যতা বজায় রাখার জন্য নদী এবং খালগুলো খনন করার জন্য আবারও জোর দিয়েছেন।