নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয়

ভোক্তার ভোগান্তি বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক »
বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে দেশের ভোজ্যতেলের দামে। খুচরা বাজারে দেখা দিয়েছে ভোজ্যতেলের সংকট। একই সাথে বেড়ে চলেছে কাঁচা সবজির দামও। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। নিত্যপণ্য ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষের।
ভোজ্যতেলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১ হাজার ৭৩০ ডলারে ঠেকেছে। এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। গত এক সপ্তাহে এ দাম ১০০ ডলার বেড়েছে। মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেলের বাজারে এ উর্ধ্বমুখি প্রবণতা।
তেলের সরবরাহ না থাকায় ও দফায় দফায় দাম বাড়ার কারণে তেল বিক্রয়ে বিমুখ হচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গত সপ্তাহে পাইকারিতে ১ লিটার সয়াবিন দাম ছিল ১৬৫ টাকা। যা এ সপ্তাহে বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৭৯০ টাকায় এ সপ্তাহে তা ৮৫০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
নগরীর রেয়াজউদ্দীন বাজার, বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ছোলা প্রতিকেজি ৫ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার মটর বুট দাম বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে চিনির। গত সপ্তাহে যা বিক্রয় হয়েছে ৭৪ টাকায় বর্তমানে তা ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ৫৫ টাকায়। দেশি রসুন প্রতিকেজি ৫০ টাকা, আমদানিকৃত রসুন ১২০ টাকা ও দেশি আদা ৯৫ থেকে ১শ’ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। খোলা আটা ৩৬ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৫০ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে মসুর ডাল ১২০ টাকা ও বড় দানা ১শ’ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
ধীরে বাড়ছে বেগুনের দাম। প্রতিকেজি বেগুন ৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, গাজর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লেবু ডজন ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
বাজার করতে আসা মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষের হিমশিম খেতে হচ্ছে। চকবাজার কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘নিত্যপণ্যের যে হারে দাম বাড়ছে সে অনুযায়ী তো বেতন বাড়ছে না। শুধু বাড়ছে ভোক্তার ভোগান্তি। বেশিরভাগ পণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কাঁচা বাজার কিনতে গিয়ে মাছ বা মাংস কেনার সাধ্য হারিয়ে ফেলছে মধ্যম আয়ের মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মাছ, মাংস বিলাসিতার পণ্যে ঠেকেছে।’