নানা অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখছে র‌্যাব

কক্সবাজারে মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

র‌্যাব এর মহাপরিচালক, অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘সন্ত্রাস, জলদস্যু, মাদক নির্মূল ও জঙ্গিদমনসহ নানা অপরাধ দমনে র‌্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ এখন জঙ্গিমুক্ত। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।’
গতকাল সোমবার সকালে র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে ‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
র‌্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘দেশে মাদক নির্মূলে র‌্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক সমস্যা একদিনে তৈরি হয়নি, তাই অতি অল্প সময়ে তা নির্মূল সম্ভব নয়, এজন্য প্রলম্বিত অপারেশন প্রয়োজন। তবে কক্সবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দেশের সব নাগরিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে মাদকের ডিমান্ড ও সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। সীমান্তবর্তী কক্সবাজারে মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে অভিযানের পাশাপাশি বহুমুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু অভিযান নয়, নানা কর্মমুখী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে অপরাধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে র‌্যাব। অপরাধীদের মধ্যে অনেককে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন র‌্যাবের আইন এবং গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম ও হোটেল সায়মনের পরিচালক মাহবুবুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, হোটেল-মোটেলের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন র‌্যাব এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পর্যটননগরী কক্সবাজারে অপরাধ রোধে র‌্যাব ফোর্সেস ১৫ দিনব্যাপী ‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এতে ১০ জন নারীসহ অংশ নিচ্ছে ৩৫ জন প্রশিক্ষাণার্থী। তাদের ১৫ জন প্রশিক্ষক ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। বিষয়সমূহ হলো- সেলাই, ড্রাইভিং, ফটোগ্রাফি, ট্যুরিস্ট গাইড, সার্ফিং ও হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁয় বয় এবং হাউজ কিপিং। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের সনদ ছাড়াও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা পরিবারের উপার্জনের উৎস হতে পারেন।
র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এখানে যারা প্রশিক্ষণার্থী তাঁরা এখনো কোন অপরাধের সাথে জড়িত নেই। তবে জড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। তাই অপরাধ রোধে এই কর্মশালার আয়োজন। এখান থেকে যারা প্রশিক্ষণ নেবে তাদের দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে।’