নগরে বিষাক্ত কেমিক্যালে তৈরি হচ্ছে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী

নগরীর দেওয়ানহাটস' সুপারিপাড়ায় এ.আর চট্টলা নামক কারখানায় করোনার নকল সুরক্ষা সামগ্রীর তৈরীর সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা ভাইরাসের চরম সংকটের মধ্যে নগরীর দেওয়ান হাট এলাকার মধ্যম সুপারিপাড়ার এ আর চট্টলা কেমিক্যাল নামের একটি কারখানায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে তারা এসব বাজারে সরবরাহ করছে। জেলা প্রশাসনের অভিযানে কারখানাটির সন্ধান পায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল, স্যাভলন, হারপিকসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে তারা বোলতজাত করে বিভিন্ন মাধ্যমে নগরী ও জেলার বাজারগুলোতে সরবরাহ করছে।

সোমবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টায় দেওয়ানহাট সুপারিপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে চালানো অভিযানে এ.আর চট্টলা কারখানা থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিকর নকল ও ভেজাল দ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই কারখানার মালিক মো. রাশেদকে ৬ মাসের কারাদ- দেওয়াসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক সুপ্রভাতকে বলেন, করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করতে ক্ষতিকারক রং ও কেমিক্যাল মিশ্রণে প্রায় শ’খানেক ড্রামে রিজার্ভ করে রাখা হয়েছে। ওইসব ড্রাম থেকে কারখানার মালিক মো. রাশেদ নিজের হাতে  কেমিস্ট ও ল্যাব ছাড়া এই মিশ্রণগুলো  বোতলে মোড়কজাত করে বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করছে। কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান সুপ্রভাতকে বলেন, নকল  পণ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন নেই।