নগরীতে ৬ স্থানে ও অনলাইনে চলবে কোরবানির পশুরহাট

ঈদুল আযহা আসন্ন। দূরদূরান্ত থেকে গরু আসছে, ক্রেতারা বাজারে আসতে শুরু করেছে। সাগরিকা গরুর বাজার থেকে তোলা ছবি- সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক »
কোরবানি ঈদের বাকি দু’সপ্তাহ। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের সময় বাড়ানো হয়েছে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। এদিকে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ইজারাকৃত অস্থায়ী তিনটিসহ মোট ৬টি হাট বসবে। এতে মানতে হবে ১৭ নির্দেশনা।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরে ৯টি অস্থায়ী হাটের অনুমতি চাওয়া হয়েছে গত ৩০ মে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা প্রশাসন থেকে ৩টি অস্থায়ী হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাটগুলো হলো কর্ণফুলী পশুর হাট (নূর নগর হাউজিং), পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ ও সল্টগোলা ক্রসিং পশুর হাট। তাছাড়া নগরীর ৩টি স্থায়ী হাট হলো সাগরিকা গরু বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। এদিকে হাটে যাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হায়েছে। সবার মাস্ক নিশ্চিত করা, প্রবেশ ও বহির্গমনের পৃথক পথ রাখা, বৃদ্ধ ও শিশুদের হাটে যেতে নিরুৎসাহিত করাসহ এমন কিছু নির্দেশনা দিয়ে মোট ১৭টি শর্তে নগরে হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও গতবার ৪টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছিল। এ বছরে একটি কমে তিনটি হাটের অনুমোদন মিলেছে।
শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নিয়ম অনুসারে খণ্ডকালীন হাটগুলো দশ দিনের জন্য বসানো হয়। সেই হিসেবে আগামী ১২ অথবা ১৩ জুলাই থেকে নগরীর তিন অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বসাবে চসিক। কিন্তু লকডাউন বাড়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে কিনা জানতে চাইলে চসিক স্টেট অফিসার মো. জসীম উদ্দীন সুপ্রভাতকে বলেন, ‘এখনো ইজারাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে ১২ জুলাই থেকে হাট বসছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাট শুরু হলেই জনবল নিয়ে হাটে ১৭ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নামবো।’
চট্টগ্রাম নগরে অনলাইনে কোরবানি পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হাটে না গিয়ে অনলাইনে দেখে নগরে বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম থেকে কোরবানি পশু ক্রয় করছে। এগ্রো ফার্মগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কিনার সুযোগও রয়েছে। এতে নতুন উদ্যোক্তার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।
সারা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আলিফ চৌধুরি বলেন, ‘অনলাইনে গরু বিক্রয় হচ্ছে। যারা সরাসরি দেখতে চাই তারা এগ্রোতে এসে দেখে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পেইজ থেকে অনেকে গরু বুকিং দিচ্ছে। অনলাইনে গরু বিক্রয় আসলে একটি ভাল প্লাটফর্ম।
এ পর্যন্ত ৩৫০ গরুর মধ্যে ৭৫টির বেশি গরু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্রেতারা স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে গরু অনলাইনে কিনছেন। এই উদ্যোগটি করোনা মোকাবেলায় অগ্রজ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী।’
এদিকে কিং ক্যাটেল ফার্মের স্বত্বাধিকারী ফকরুল আবেদিন আসিফ বলেন, ‘গত বছর এবং চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়াতে হাটে গরু তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করছে অনলাইনে গরু বিক্রয়। এতে যোগাযোগ অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। ভিডিও কলে গরু দেখতে পেয়ে অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করছে। বুকিং ও বিক্রয় হচ্ছে অনলাইনে।’