দেশেই প্রিপেইড মিটার বানাতে চায় তিতাস

সুপ্রভাত ডেস্ক »

এবার দেশেই প্রিপেইড মিটার বানাতে চায় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস। এজন্য জাপানের একটি কোম্পানির সঙ্গে মিটার কারখানা স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে তিতাসের সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার প্রস্তুত ও সংযোজনের জন্য দুটি কোম্পানি ইতোমধ্যে গড়ে উঠলেও গ্যাসের প্রিপেইড মিটার এখনও আমদানি করতে হয়।

জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিদেশ থেকে বাড়তি দামে যেন মিটার আনতে না হয় সে জন্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও জ্বালানি সচিব অনেক দিন ধরেই দেশে মিটার কারখানা স্থাপন করা যায় কি না সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

তিতাসও অনেক দিন ধরে এ নিয়ে আলোচনা করছিল। এখন জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানকে পাওয়া গেছে, যারা তিতাসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিটার কারখানা করতে সম্মত হয়েছে।

তিতাস বলছে, টয়োকিকি অ্যান্ড ওনাডা জাপান নামের কোম্পানিটি বাংলাদেশে একটি প্রিপেইড মিটার কারখানা করতে চায়। যে কোম্পানিতে তিতাসেরও অংশীদারিত্ব থাকবে।

যেহেতু দেশের গ্যাস গ্রাহকদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি তিতাসের, তাই এ কাজে তিতাসই প্রাধান্য পাচ্ছে। একবার দেশে প্রিপেইড মিটারের কারখানা হলে অন্যরাও এখান থেকে মিটার নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় বলে তিতাসের কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টয়োকিক ও অনাডা দুটি ভিন্ন কোম্পানি। এরা একসঙ্গে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করে টয়োকিকি অ্যান্ড ওনাডা জাপান নামে বাংলাদেশে কাজ করতে চায়।

টয়োকিকির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, পানি ও গ্যাসের মিটার তৈরি ও বাজারজাতের অভিজ্ঞতা রয়েছে এ কোম্পানির। অন্যদিকে ওনাডার ওয়েবসাইট ও ব্লুমবার্গ-এর তথ্য বলছে, এটি মূলত সিমেন্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানি। প্রায় তিনশ’ কোটি ডলারের কোম্পানিটি টোকিওর শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে গ্যাসের আবাসিক গ্রাহক ৪৩ লাখ। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার পেয়েছেন। এ পর্যন্ত জাইকার অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ ২০ হাজার মিটার বসিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। আরও এক লাখ মিটার বসানোর একটি প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের জন্য লাভজনক, গ্যাসের অপচয়ও কম হয়। অন্যদিকে এ ব্যবস্থায় বিতরণ কোম্পানিগুলোর লাভ কম বলে ধারণা করা হয়। যে কারণে দেশে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে গতি নেই বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও বিতরণ কোম্পানিগুলো এই কাজে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। ২৪ এপ্রিল জাপানের ওই যৌথ কোম্পানির প্রিপেইড মিটারের কারখানা স্থাপন বিষয়ে জ্বালানি বিভাগে একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়ার কথা রয়েছে।