দুর্ভোগে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ

লকডাউনের ১ম দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক <<
দ্বিতীয় দফা লকডাউনের প্রথম দিন। সোমবার সকাল সাড়ে বারোটা। কদমতলী মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাসমান সবজি বিক্রেতা রফিক উদ্দিন। ‘ভ্যান খালি কেন?’ জানতে চাওয়া হলে উত্তর আসে, লকডাউন। নিজেই কথাটা আরেকটু এগিয়ে নিয়ে বলেন, দুপুরে খাবো কিনা জানি না। পারলে কিছু ত্রাণ দেন।
শুধু রফিক নয়, তার মতো আরো নানা পেশার মানুষ এভাবে দাঁড়িয়ে আছে শুভপুর বাসস্ট্যান্ড, কদমতলী রেললাইনের পাশে। পুলিশ দেখলে একটু দূরে চলে যায়, পুলিশ চলে গেলে আবার আসে রাস্তায়। তবে গত লকডাউনের তুলনায় মানুষের আনাগোনা এবার একটু বেশি।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার সকাল ছয়টা থেকে অবরুদ্ধ অবস্থা (লকডাউন) শুরু হয়েছে। মানুষের চলাচল ও কাজ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কোন গণপরিবহন চলবে না। জরুরি প্রয়োজনে কিছু অফিস-আদালত খোলা থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করতে হবে বলে সরকারে পক্ষ থেকে আদেশ করা হয়েছে। কিন্তু জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে।
নিউমার্কেট, তিনপুল, এনায়েত বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু রিকশা ও মোটর সাইকেল। রিকশা চালক শাহ-আলমের সাথে কথা বলে জানা গেল, গত লকডাউনে তারা কোন ত্রাণ পাননি। গ্রামে চলে যেতে হয়েছে। বউ-বাচ্চার খাবার যোগাড় করতে চরম কষ্ট হয়েছে। এই লকডাউনও কষ্ট বাড়িয়ে দিবে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায় অনেকেই রাস্তার পাশে, গলির ভিতর মাথায় ও কাঁধে ঝুলিয়ে পান-সিগেরেট বিক্রি করতে।
হঠাৎ লকডাউন চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে ভাসমান, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের।
ভ্যানে করে এক ডাব বিক্রেতা বলেন, এই লকডাউন আমাদের পেটে লাথি দেয়ার মতো।
উল্লেখ্য, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের লকডাউন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই লকডাউনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। গতকালও নগরীতে সংক্রমিত হয়েছে ৩০০ এর বেশি।