দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা জরুরি : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও ব্লুমবার্গ ফিনেল থেøাফিসের সাথে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা গতকাল মঙ্গলবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নাল আবেদীন, সওজ তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসাইন, বিআরটিএ পরিচালক সাদিকুরজ্জামান ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম, ক্লমবার্গ ফিনেল থেøাফিসের পরিচালক ক্যালি লারসন, জিআরএসপি ম্যানেজার তাইফুর রহমান, ডব্লিউআরআই প্রতিনিধি ধাওয়াল আছার, প্রিয়াংকা শুক্লান, চেতন পাদ্মাকার, কানিজ ফাতেমা, পিএসসি উপদেষ্টা টম কোরাল, আঞ্চলিক উপদেষ্টা ইলেনা ভেন ডি ব্লাক, কান্ট্রি ম্যানেজার মো. নাসির উদ্দিন, সিনিয়র ভাইটাল স্ট্রাটেজির উপ-পরিচালক জিয়াও জিং ওফাং, প্রতিনিধি সারা হোয়াইট হেড, আবদুল গফুর এম বাছানি, জন্স হপকিনন্স ব্লমবার্গ স্কুল ও পাবলিক হেল্থের প্রতিনিধি নিশাত প্যাটেল, ফুউংফেঞ্জ লি, সি আর পিআরবি পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী ও কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নগরীর জন্য একটি অগ্রাধিকার বিষয়। সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারকারীদের তথা পথচারী ও সবধরনের যানবাহনের চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি।
তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন আছে কিন্তু প্রয়োগের বিষয়টি যথাযথ হয়না বিধায় সড়ক দুর্ঘটনারোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ট্রাফিক আইনের সঠিকভাবে প্রয়োগ করা, সড়কের নকশা উন্নতকরণ, নিরাপদ অবকাঠামো নির্মাণ, সড়কে দুর্ঘটনার কারণ সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণের বিষয়টিও নজরদারি করতে হবে। এলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ব্লমবার্গ ফিনেল থেøাফিসের সাথে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, সড়ক ও জনপদ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবসংস্থা সমন্বয়ের প্রয়োজন। সড়ক দুর্ঘটনা জনিত জীবনহানি এবং শারীরিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে এনে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী সড়ক আইন ও বিধিবিধান জানাতে এবং মানতে হবে।
ব্লমবার্গ ফিনেল থেøাফিসের পরিচালক ক্যালি লারসন বলেন, সড়ক নিরাপত্তা সারা বিশ্ব গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করছে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ৫০টিরও বেশি দেশে কাজ করছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাথে মতবিনিময় ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করছি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে ১৬টি স্থানের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, চলক ও পথচারীদের অসতর্কতা, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অনুপযুক্ত সড়ক সর্বোপরি গতি নিয়ন্ত্রণে অবসাবধানতা কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। আজকের এ মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে কিছু করণীয় সুস্পষ্ট হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময়ে আগ্রহী একই সাথে চালক ও যানবাহনের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করা প্রয়োজন মনে করি। তিনি ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ এবং রাস্তা যানচলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ফুটপাতে পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করা এবং সর্বসাধারণের ট্রাফিক আইনের ধারণা থাকা এবং তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থাও বাঞ্চনীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি