’দুই মাসের মধ্যে আয়কর আইন চূড়ান্ত হচ্ছে’

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক »
আগামী দুই মাসের মধ্যে আয়কর আইন চূড়ান্ত হবে। জাতীয় রাজস্ব আহরণে কাস্টমসের কার্যক্রম অনন্য, এ ক্ষেত্রে কাস্টমস ও সংশ্লিষ্ট সকলের অবদান উল্লেখ করার মত।
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য (কর আপীল ও অব্যাহতি) মো. আবদুল মজিদ এ কথা বলেন।
এছাড়া অন্য বক্তারা তথ্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ করা গেলে চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কার্যক্রম সহজে সম্পাদন করা সম্ভব হবে। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দেশীয় শিল্প সুরক্ষা, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ কাস্টমসের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ডিজিটাইলাইজেশনের মাধ্যমে তথ্য-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো গেলে চোরাচালান রোধ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধসহ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ কাস্টমস বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
এবারের কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘তথ্য সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ’।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কর কমিশনার (অঞ্চল-১) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম। বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ প্রতিনিধি অঞ্জন শেখর দত্ত, চট্টগ্রাম উইমেন্স চেম্বারের সহ-সভাপতি রেখা আলম চৌধুরী, ফ্রেইড ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের খায়রুল আলম সুজন, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক ও কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. আবু নুর রাশেদ আহম্মেদ। সেমিনারে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের ওপর নির্মিত বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) ১৮২টি সদস্য দেশ দিবসটি উদযাপন করেছে।