ড্রয়ে শেষ ক্যান্ডি টেস্ট

Bangladesh's Tamim Iqbal plays a shot during the fifth and final day of the first Test cricket match between Sri Lanka and Bangladesh at the Pallekele International Cricket Stadium in Kandy on April 25, 2021. (Photo by ISHARA S. KODIKARA / AFP) (Photo by ISHARA S. KODIKARA/AFP via Getty Images)

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক <<
প্রথম তিন দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল কি হতে যাচ্ছে ক্যান্ডি টেস্টের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। নিষ্প্রাণ ড্রয়ে ঘটেছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের সমাপ্তি।
১০৭ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে সাত রানে পিছিয়ে থেকে চা বিরতিতে যায় টাইগাররা। বৃষ্টিতে এরপর খেলা আর মাঠেই গড়ায়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের খানিকটা আগেই ড্র মেনে নেন মুমিনুল হক ও দিমুথ করুণারত্নে।
খেলা শেষের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১০০ রান। তামিম ইকবাল ৭৪ ও মুমিনুল হক ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন শেষে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তামিম ও সাইফ হাসান। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ সাইফ এ ম্যাচে করেন মাত্র ১ রান। আগের ইনিংসে শতক হাঁকানো শান্ত রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দুজনকেই সাজঘরে ফেরান সুরাঙ্গা লাকমল।
শুরুতেই ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তামিম ও মুমিনুল হক। আক্রমণাত্মক খেলে তামিম তুলে নেন আরো একটি ফিফটি। অন্যপ্রান্তে ধরে খেলেন মুমিনুল। চা বিরতির পর আর খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান করে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাবটাও দারুনভাবেই দিয়েছে লঙ্কানরা।
তিন উইকেটে ৫১২ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের হয়ে ব্যাট করতে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারত্নে ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা।
দিনের পঞ্চম ওভারে প্রথম সাফল্য পান তাসকিন আহমেদ। ধনঞ্জয়কে ইনসাইড এজের মাধ্যমে বোল্ড করেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে এই অলরাউন্ডার ১৬৬ রান করেন।
নিজের পরের ওভারে বিপদজনক করুনারত্নকে ফেরান তাসকিন। আগের বলটি স্লোয়ার দিলেও পরেরটি একই লাইন ও লেন্থে জোরে করেন তিনি। গতির পার্থক্যে ক্যাচ তুলে দেন লঙ্কান অধিনায়ক। তিনি ফেরেন ২৪৪ রানে।
একটু পরই লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে পাথুম নিশাঙ্কাকে আউট করেন এবাদত হোসেন। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরায় নিরোশান ডিকওয়েলা ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি। অনেকটা একাই স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাকে ৪৩ রানে বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।