জশনে জুলুসে মানুষের ঢল

ছবি তুলেছেন আন্তর্জাতিক থ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শোয়েব ফারুকী।

নিজস্ব প্রতিবেদক »

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫১তম এ জুলুসে মানুষের ঢল নেমেছিল। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে জুলুস শুরু হয়। মাঠ থেকে মুরাদপুরের সড়কে পৌঁছার পরই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জুলুস।

জুলুসে নেতৃত্ব দিয়েছেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। জুলুসে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ) ও শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ)।

মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া থেকে শুরু হওয়া জুলুস বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার অলিখাঁ মসজিদ, প্যারেড মাঠের পশ্চিম পাশ হয়ে, চট্টগ্রাম কলেজ, গণিবেকারি, খাস্তগীর স্কুল, আসকার দীঘি, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেট হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে শেষ হয়।  দুপুরে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার মাঠে মাহফিল ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় জুলুস।

আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ) সভাপতিত্বে আয়োজিত মাহফিলে বক্তব্য দেন পিএইচপি ফ্যামেলির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল আলিম, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ প্রমুখ।

১৯৭৪ সালে নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.) এ জুলুসের সূচনা করেন। সেই থেকে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল এ জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

জশনে জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকে নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়। এ ছাড়া আশপাশের বিভিন্ন মোড়েও জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ মোটরসাইকেলে আবার কেউ ট্রাক কিংবা পিকআপের ওপর চেপে জুলুসে অংশ নেয়। এসময় তাকবির, দরুদ, হামদ, নাতে রাসুল, গজল, জিকিরে মুখরিত হয়ে ওঠে। সড়কের বিভিন্ন মোড়ে বিশুদ্ধ পানি, শরবত ও শুকনো খাবার বিতরণ হয়েছে। এ ছাড়া পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে সড়কগুলো।