জলাবদ্ধতা, নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে

জলাবদ্ধতা নিরসনে যত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হোক না কেন নিয়মিত নালা, খাল পরিষ্কার না করলে কোনো সুফলই মিলবে না। পরিশেষে সিটি মেয়র এই স্বয়ং তা উপলব্ধি করেছেন দেখে স্বস্তিবোধ করছে নগরবাসী।
বুধবার স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে প্রবর্তকের রুপালি গিটার চত্বরের পাশের নালা অর্ধশতাধিক পরিচ্ছন্নকর্মীকে নিয়ে পরিচ্ছন্ন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র রেজাউল। এ সময় তিনি বলেন, খাল-নালায় জমে থাকা মাটি-পলিথিন পরিষ্কার করতে পারলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা কমবে। এ সময় নালায় বাথরুমের ভাঙা কমোড, পুরোনো লেপ তোষক এবং মেডিক্যাল বর্জ্যসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র।
এ কথাটিই বারবার বলা হয়েছে যে, হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প না করে নগরের নালা ও খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করলেই জলাবদ্ধতার সুযোগ থাকতো না। দেরিতে হলেও মেয়র এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেছেন, নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছি। কিন্তু কিছু মানুষের অসচেতন আচরণ নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার পেছনে বড় বাধা। এজন্য আমরা সচেতনতা বাড়াতে জোর দিচ্ছি।
মানুষ সচেতন না হলে আমরা কখনোই এ শহর পরিষ্কার রাখতে পারবো না। জনগণ যদি সচেতন হয় ভৌগোলিক কারণে বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। এরপরও কেউ অযথা নালায় ময়লা ফেললে যার প্রতিষ্ঠান-বাসার সামনে ময়লা পাবো তাকে আইনের আওতায় আনবো, জরিমানা করবো।’
জলাবদ্ধতা কমাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরীর ৩৬টি খালে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ চলছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে। এতগুলো খালের মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল, গাইড ওয়াল, স্লাব বসানো সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই সিডিএ’কে জানিয়েছি যাতে বর্ষার আগে অন্তত চলমান প্রকল্পের অধীন নালা-খালগুলোর জমে থাকা মাটি যাতে সরিয়ে নেয়া হয়। খাল-নালা পরিষ্কার থাকলে জলাবদ্ধতা কমবে। নগরীর অভ্যন্তরীণ নালার দায়িত্ব আমাদের। আমরা এগুলো পরিষ্কার করছি, মাটি উত্তোলন করছি। এটা চলমান থাকবে।
এসব কথার পূর্ণ বাস্তববায়ন দেখতে চায় নগরবাসী। কারণ নগরজুড়ে যত খাল আছে তার অবস্থা দেখে হতাশ হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। এখন থেকে ভরাট হয়ে যাওয়া খালের মাটি সরানো শুরু করলে শত চেষ্টাতেও বর্ষার আগে সম্পন্ন করা সহজ হবে না।