জব্বারের বলীখেলার ট্রফিও জার্সি উন্মোচন সম্পন্ন

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক »

লালদীঘিস্থ সিটি কর্পোরেশন লাইব্রেরি মিলনায়তনে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বার স্মৃতি বলি খেলা ও বৈশাখী মেলার ১১৫তম আসরের ট্রফি এবং জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠান গতকাল শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। কমিটির সহ সভাপতি জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় ও সভাপতি আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বলীখেলার এবারের পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী ও সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য ও এনএইচটি হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।
মেয়র চট্টগ্রামে নতুন বলি খেলোয়াড় ও বিচারক খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের উদ্যোগে নেওয়ার জন্য আয়োজক কমিটিকে অনুরোধ জানিয়ে এ ব্যাপারে জায়গা ও পৃষ্ঠপোষকতার ঘোষণা দেন।
তিনি আরো বলেন, এ মেলা ও বলি খেলার সাথে মানুষের আবেগ জড়িত, করোনা মহামারির পর মেলাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুনে আমার খুব কষ্ট লেগেছিল। আমি পড়তাম মুসলিম স্কুলে। আমি বলেছি মেলা হবে। খেলা হবে। টাকা আমি দেব। আমি বলেছি মাঠ না পেলে মোড়ে বলীর মঞ্চ করবো। কমিটির উৎসাহ, দৃঢ়তায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবাই এগিয়ে এলে ঐতিহ্য হারাবে না। চট্টগ্রাম ভারতবর্ষকে পথ দেখিয়েছে। আমার অনুরোধ নতুনদের বলীখেলা শিখিয়ে যাবেন। যা কিছু লাগে আমি দায়িত্ব নেব, ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরো বলেন, এ বলীখেলায় বিক্রির জন্য ঘরে ঘরে পসরা তৈরি করা হয়। কোটি টাকার ব্যবসা হয়। নৌকা বাইচ, হাডুডু খেলাসহ অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলোকে আবারো স্বরূপে ফিরিয়ে আনতে হবে। পৃষ্ঠপোষক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতি বলীখেলা। ছোট থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কখন খেলাটা, মেলাটা হবে। চট্টগ্রামের হারানো ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বলীখেলায় পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছি। তিনি আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, তিন দিন এ কার্যক্রম ২৪ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। আর ২৫ এপ্রিল বলি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, এটি ঐতিহাসিক বলী খেলা। সারা বিশ্বে এ খেলা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখতে হবে। বলী খেলা টুরিজম বোর্ডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বলীদের প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি ও বলি খেলার প্রধান বিচারক মো. হাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি ও বলী খেলার সাবেক প্রধান বিচারক এম এ মালেকসহ কমিটির সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।