জনগণ সচেতন হলেই পাইলট প্রকল্প সফল হবে : মেয়র

‘নবী নগর এলাকায় ৮০টি বাড়িকে ঘিরে চসিক যে পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন একটি মাত্রা যোগ হলো। এই প্রকল্পে প্রতিটি বাড়িকে একই রংয়ে সাজিয়ে প্রতিটি গলি ও বাড়ির সামনে ময়লা ফেলার জন্য বিন বসানো হয়েছে। সেই সাথে জনসচেতনতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য দেয়ালে চিকা ও আলপনা আঁকা হয়েছে। জনগণ সচেতন হলে এই পাইলট প্রকল্প সফল হবে।’
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর পশ্চিম ষোলশহরস্থ নবীনগর এলাকায় ইপসা ও সেভ দ্য চিল্ড্রেন উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে গৃহীত এই পাইলট প্রকল্প সফল হলে তা অনুসরণ করে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার প্রবণতাও বন্ধ হবে। পাশাপাশি বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহকৃত বর্জ্যরে একটি অংশকে ডাম্পিং করার আগে উৎপাদনশীল খাত হিসেবে চিহ্নিত করে ডাম্পিং এর পর রিসাইকেলিং করে বাকী বর্জ্য সম্পদে পরিণত করা হবে।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোবারক আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ইপসার উপ-পরিচালক নাছিম বানু, সেভ দ্য চিল্ডেন’র ম্যানেজার সাইমুন রহমান, নবী নগর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ইলিয়াছ মিয়া তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক এসএম সেলিম প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, পলিথিন সভ্যতার অভিশাপ। কর্ণফুলীতে পলিথিন জমাট এর কারণে ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। শহরের নালা-নর্দমা, খাল ও নদী পলিথিনের স্তূপের কারণে জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, মশা প্রজননের উৎস হলো জমাট পানি ও ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। এই সব বার বার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগার তৈরি হয়। এসবের জন্য অসচেতন নাগরিকরাই দায়ী।
তাই নগরবাসীকে সচেতনতার সাথে নগর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি