আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। করোনার কারণে গত বছর পরীক্ষা হতে না পারলেও এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এবং তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে।
আজ থেকে শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ১ হাজার ২০৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
করোনার কারণে প্রতিটি কেন্দ্র একটি করে রুম আইসোলেশন হিসেবে রাখার মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কেন্দ্র সচিবকে বলেছি আইসোলেশন রুম রাখার জন্য। কোনো শিক্ষার্থীর জ্বর, সর্দি, কাশি বা করোনার কোনো লক্ষণ থাকলে আইসোলেশন রুমে বসিয়ে পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে।’
পরীক্ষার আগের দিনও অনেককে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়েছে। পরীক্ষার আগের দিন কেন দিতে হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী করোনার কারণে যথাসময়ে ফরম পূরণ করতে পারেনি। আবার অনেকে আর্থিক বা কোনো দুর্ঘটনায় পারেনি। শেষ মুহূর্তে কলেজগুলোর অনুরোধে তাদের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতি দিয়েছি। এজন্য হাতে লেখা প্রবেশপত্র দিতে হয়েছে।’
এদিকে এবারের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ১ লাখ ১ হাজার ২০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত ৮৯ হাজার ৭৭৬ জন, অনিয়মিত ১১ হাজার ১৯৩ জন, প্রাইভেট ১২৯ জন ও মান উন্নয়ন ১১০ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞানের পরীক্ষার্থী ২০ হাজার ৩৭৭ জন, মানবিকের ৪৪ হাজার ১৯০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ৩৬ হাজার ৬৪১ জন। এসব পরীক্ষার্থী চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ১১২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের ৬৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭৪ হাজার ৯৭৪ জন, কক্সবাজারের ১৮টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৭১৬ জন, রাঙামাটিতে ১০টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭৬১ জন, খাগড়াছড়ির ৯টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৮৬০ জন ও বান্দরবানের ৭টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৯৭ জন।
উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কারণে সরকারের পক্ষ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস কমিয়ে আনা হয়েছে। গত এপ্রিলে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তখন তা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সিলেবাস ও বিষয় কমিয়ে আনা হয়েছে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা দেবে। আবশ্যিক বিষয়গুলো জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ম্যাপিং করে ফলাফল প্রস্তুত করবে শিক্ষাবোর্ডগুলো।