চট্টগ্রামে জুলাইয়ে শনাক্ত ২৩ হাজার

৯৬২ মৃত্যুর মধ্যে জুলাইয়ে ২৬১

বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে করোনার উপর্সগ নিয়ে আসা রোগী। চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে দুপুরের তোলা ছবি। - রনী দে

নিজস্ব প্রতিবেদক >>
করোনার দ্রুত সংক্রমণশীল ভারতীয় ধরনে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এরই মধ্যে অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ১৯৫ জন। একই সময়ে করোনায় রেকর্ডসংখ্যক ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪২ জনের। এ নিয়ে করোনায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮১ হাজার ৯৫৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জুলাই মাসে ৬৮ হাজার ৯১০ নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে ২৩ হাজার ১৯৫ জন। এটি করোনায় একমাসেই চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৯ হাজার ৯১৮ জনের শনাক্ত ছিল একমাসেই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। জুলাই মাসে নমুনা হিসেবে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ সময়ে নগরী এবং উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে নগরীতে। নগরীর ১৫ হাজার ৬৮৮ জন, উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫০৭ জন। করোনায় জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নগরীতে। এ সময়ে মোট ২৬১ জনের মধ্যে নগরীতে মারা গেছেন ১০৩ এবং উপজেলায় ১৫৮ জন।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত তথ্যমতে, শুক্রবার চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাবে ২ হাজার ১৩৪ নমুনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪২ জন। নমুনা হিসেবে শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে নগরীতে ৬৪৯ এবং উপজেলায় ৯৩ জন। এ নিয়ে নগরীতে ৬১ হাজার ৫৫৬ এবং উপজেলায় ২০ হাজার ৪০৩ জনসহ চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮১ হাজার ৯৫৯ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে তিনজন এবং উপজেলায় একজনসহ মারা গেছেন চারজন। এ নিয়ে নগরীতে ৫৭৭ জন এবং উপজেলায় ৩৮৫ জনসহ চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬২ জন।
ল্যাবভিত্তিক তথ্যমতে, ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৩০ নমুনার মধ্যে ১৬৪ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩২৮ নমুনায় ১৬৪ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ৬৩২ নমুনায় ২১৫ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ১১২ নমুনায় ৪৮ জন, শেভরনে ২১৫ নমুনায় ৮৭ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১১৭ নমুনায় ৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাব, আরটিআরএল ল্যাব, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চট্টগ্রামের কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।