চট্টগ্রামেও প্রধানমন্ত্রীর অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক »

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, ‘দেশের দ্বিতীয় রাজধানীতে সমন্বিত দফতরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা ছোট অফিসের ব্যবস্থা রাখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, পরীর পাহাড়ের সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। শুধু পরীর পাহাড় নয়, দেশের সব জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট সমন্বিত অফিস এলাকা পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্ণফুলী নদীর তীরে হওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এরকম প্রকল্প করার আগে পরিবেশ অধিদফতরের একটা ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস করে নিবো। যদি পজেটিভ আসে তখন পরিবেশ অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদ্ধতিগতভাবে তাদের অনুমোদন নিয়ে নিবো। আমরা যেসমস্ত অফিস করছি তার পরিবেশ, চারপাশের প্রতিবেশ, ভেতরের অবয়বে অনেক পরিবর্তন আসছে। এসব কিছুর চিন্তা করেই এই সমন্বিত দফতর। তবে কর্ণফুলী তীরের এমন পরিবেশ দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কার্যালয়ের বিষয়ে প্রস্তাবনা রাখবো।’

কী কী থাকছে এ সমন্বিত অফিস এলাকায়?

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সমন্বিত অফিস এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা  থাকবে, চিকিৎসা সেবা, ক্লাব ঘরের ব্যবস্থা থাকবে। সেব গ্রহীতাদের যা কিছু প্রয়োজন তার সকল সুবিধা থাকবে। সুবিধাভোগীদের সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই এ কার্যক্রম শুরু করবো। আপাতত ৭৫ একর জমি নিয়ে এগুচ্ছি। পরে প্রয়োজন অনুসারে এটি বৃদ্ধি করা হবে। অন্য জমি অধিগ্রহণ করা হবে। সরকারের সকল বিভাগই প্রয়োজনীয়। কোনটি গুরুত্বপূর্ণ আবার কোনটি বিভাগ গুরুত্বহীন-এমনটি নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত হয়েছেন। পরবর্তী পদ্ধতিগত দিকগুলো অনুসরণ করে এ বিষয়ে যা করণীয় সেটি করা হবে। দেশ উন্নত হচ্ছে। উন্নত দেশের সরকারি কাজকর্ম বা অফিসের কাজকর্মের পরিবেশ ভালো করা একান্ত প্রয়োজন। সুন্দর অফিসে বসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করবেন। সেখান থেকে আমরা ভালো কাজ, গুণগত কাজ উপহার পাবো। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কোন সেবাগ্রহীতাকে কষ্ট না দিয়ে এখন থেকে প্রত্যেককে আরও আন্তরিক হয়ে সৎ ও দক্ষতার সাথে সেবা দিতে হবে।’

পরীর পাহাড় প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, ‘পরীর পাহাড় একটি ঐতিহ্যবাহী পাহাড়। এ পাহাড় বহুকালের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। তাই এটি সংরক্ষণ করতে হবে। এ পাহাড়কে সংরক্ষণের জন্য মূলত আমাদের এই সমন্বিত দফতর।’

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।