গ্লুকোমা রোগ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ

চক্ষু হাসপাতালে সেমিনার

‘বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ – ২০২১’ উদ্যাপন করেছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। গতকাল ৯ মার্চ সকাল সাড়ে আটটায় পাহাড়তলীর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি ও র‌্যালির উদ্বোধন করেন হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও আইএইচএল এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
এ সময় গ্লুকোমা চোখের নীরব ঘাতক উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ গ্লুকোমা, যা অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। এ রোগে চোখের ভেতর চাপ বেড়ে গিয়ে দৃষ্টির পরিসীমা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী অন্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্লুকোমা রোগে দৃষ্টির যে ক্ষতি হয়, তা কখনো ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, গ্লুকোমা রোগ নিয়ে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যারা চলিশোর্ধ্ব তাদের প্রত্যেকেরই উচিত চোখের যে কোন ধরনের উপসর্গের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। তিনি মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ, চোখের নীরব ঘাতক গ্লুকোমার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. কামরুল ইসলাম, আইসিও এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজীব হোসেন, অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. সাজ্জাদ হোসেন খান, কনসালটেন্ট ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, রেসিডেন্ট সার্জেন ডা. সোমা রানী রায়, অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. তাহমিনা আক্তার, ডা. সুইটি বড়–য়া, ডা. তনিমা রায়, ডা. সায়লা বেগম, ডা. মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও অপটোমেট্রির শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এর আগে চোখের গ্লুকোমা নির্ণয় ও প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনার হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের সিনিয়র এসিট্যান্ট সার্জন ডা. উম্মে সালমা আকবর। এছাড়া সাপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচিতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আগত রোগী ও তাদের স্বজনদের দৃষ্টিনাশী গ্লুকোমা রোগ সম্পর্কে অবগত করেন। বিজ্ঞপ্তি