ক্ষমতা বৈধ করতে সংবিধানে নানা সংশোধনী আনা হয়েছে

চবিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

চবিতে চতুর্থ এ কে খান স্মারক আইন বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান-সুপ্রভাত

চবি সংবাদদাতা »

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে আমরা সংবিধান তৈরির প্রতিটি প্রক্রিয়া, প্রসিডিউর এবং আর্কাইভ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারিনি। এতে যারা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল তাদের বিজয় হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক, গণভোটের আয়োজনের যৌক্তিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতার মানে কী, এমনকি প্রধান চার মূলনীতি নিয়েও প্রশ্ন তৈরি করে তারা। তাই আইন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ সংবিধান সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সংবিধান : সংশোধন ও বিকাশ বিষয়ক চতুর্থ এ কে খান স্মারক আইন বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ ও এ কে খান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন,  মোট ১৭টি সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা চলেছে। তবে সব সংশোধন ভাল উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়নি। জেনারেল জিয়া এবং এরশাদ আমলে নিজেদের শাসনকে বৈধ করার জন্য সংশোধনী আনা হয়। ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে পুরো রাষ্ট্রক্ষমতা প্রদান করা হয়। তখন বিচারপতি নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল ক্ষমতা একক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ৫ম সংশোধনী দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা- জায়েজ করা হয়। তাঁর হত্যাকারীদের যাতে বিচার না হয় সেই ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ সম্পর্কে  জানতে হলে আগে আমাদের দেশের সংবিধান  সম্পর্কে  জানা প্রয়োজন। সংবিধানের সংশোধনী নিয়ে আমার মতো সাধারণ মানুষের জানাশোনা কম। আমরা কিছু কিছু জানি, তবে গভীরভাবে জানি না। আমাদের সকলেরই আইন ও সংবিধানের বিস্তৃত জ্ঞান রাখা উচিত।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের  ডিন  প্রফেসর এ. বি. এম  আবু নোমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি  প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, সাধারণ সম্পাদক  প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ, আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাজেদা আক্তার ও চবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর  এস এম মনিরুল হাসান।