করোনার সময়েও ভারত আমাদের পাশে ছিলো

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে ভূমিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। আমাদের সুদৃঢ় বন্ধুত্ব ১৯৭১ সাল থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের সেনারাও প্রাণ দিয়েছেন। শুধু সংস্কৃতিতে নয়, আমাদের অনেক কিছুতেই তাদের সাথে মিল রয়েছে। আমাদের উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও ভালো সম্পর্ক বিরাজমান। বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটকালে ভারত আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময়েও ভারত আমাদের পাশে ছিলো।

গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের রেডিসন ব্লু’র মোহনা হলে আয়োজিত ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরাও ভারতের বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টির হাত বাড়াতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক। আমাদের সম্পর্কটা একে অপরের প্রতি সমান অবস্থানে। এখন আমাদের অর্থনীতি ও উন্নয়ন এশিয়ার মধ্যে ভালো অবস্থানে আছে। এ সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা উভয়েই আন্তরিক আছি।

রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামে নিয়োজিত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন ও সুস্মিতা রঞ্জন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে বরণ করার পর প্রদীপ প্রাজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন। তিনি বলেন, এ দিবসটি আমাদের অত্যন্ত স্মরণীয়। এ দিনে আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে স্বাধীন ভারতের গণতন্ত্র পাই। ভারত সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শন, গণতন্ত্রেরও। তাই আমরা গণতন্ত্র রক্ষায় যেমন অগ্রণী ভূমিকা পালন করি, তেমনি প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক রক্ষায় সচেষ্ট।

বাংলাদেশ ভারতের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন সত্যিকারের গেম চেঞ্জার। তাই তিনি পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক সবসময়ই ভালো। আমরা বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও সফলতায় আনন্দিত হই। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রথমে প্রতিবেশী, প্রতিবেশীর মধ্যে প্রথমে বাংলাদেশ। কেননা বাংলাদেশ ভারতের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী।

বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার ও কালারসোফি ডান্স সেন্টার, সঞ্চারি নৃত্যকলা একাডেমি, সঙ্গীত পরিবেশন করেন অপু দে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন, সাংসদ শামসুল চৌধুরী, এম এ লতিফ, মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ফজলে করিম চৌধুরী, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।