করদাতাদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

মতবিনিময়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র

সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম বলেন, নগরবাসীকে গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন অবকাশ নেই। করের বোঝা থেকে রেহাই দিতে আপিলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

মেয়রের সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে টাইগারপাস অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিভিউ বোর্ডের সদস্য, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম।

সেসময় তিনি বলেন, কর নির্ধারণে করদাতাদের সন্তুষ্টি অর্জনে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আপিলের সম্মুখীন হওয়ার পর কোন করদাতা সন্তুষ্ট না হলে এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অবগত করার পরামর্শ দেন।

তিনি আরও বলেন, করদাতাদের সুবিধার্থে প্রত্যেক রাজস্ব সার্কেলে হেল্প ডেক্স খোলা হয়েছে। এই ডেক্স থেকে আপিল ফরম সংগ্রহ, কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে সপ্তাহে একদিন কর বিষয়ে জনগণের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে কদাতাদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সভার পূর্বেই এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে এলাকাবাসীকে জানানো হবে।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরো বলেন, সিটি করপোরেশন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নিজস্ব আয়ের উপর নির্ভর করে নগরবাসীর সেবা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করতে হয়। চসিকের আয়ের প্রধান উৎস হল পৌরকর।

তিনি আরো বলেন, করদাতাদের সাথে কোন প্রকার অসৌজন্যমূলক আচরণ ও নির্ধারিত ফি’র বাইরে অর্থ দাবি করলে রাজস্ব কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিবের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ দাখিলের জন্য ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কর্মকর্তাগণ তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া নগরবাসী যুক্তিসংগত কোন পরামর্শ দিলে তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- আপিল বোর্ডে মেয়রের প্রতিনিধি কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, নীলু নাগ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শামসুল তাবরীজ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী, আইনজীবী ও রাজস্ব সার্কেলের কর কর্মকর্তাগণ। বিজ্ঞপ্তি