কক্সবাজার পৌরসভা : ১৭ ঘণ্টা পর নাগরিক সেবা চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

কক্সবাজারে মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে পৌরসভার সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করেছে পৌর পরিষদ। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পৌর পরিষদের পক্ষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্যানেল মেয়র-১ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে গুলি করার নির্দেশ দাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে গত রোববার। মামলার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা থেকে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল সমাবেশ করে ও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় কক্সবাজার শহরে সকল দোকান বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বিপাকে পড়ে কয়েক হাজার পর্যটকসহ দূর পাল্ল¬ার যাত্রীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ সময় রোববার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ ছিল।

উলে¬খ্য, বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদার (৩২) কে গুলি করা হয়। ব্যস্ততম একটি সড়কে রাস্তায় দাঁড়ানো অবস্থায় অতি নিকট থেকে তাকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকৎসাধীন রয়েছেন।

এই ঘটনায় রোববার দুপুরে মেয়র মুজিরুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উলে¬খ করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত মোনাফ সিকদারের বড় ভাই মো. শাহজাহান। ওই মামলায় আট জনের নাম উলে¬খ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নারী নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সন্তোষজনক সমাধানের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জেলার নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এর প্রেক্ষিতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।