কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ ১০ বিদ্রোহী ৩, স্বতন্ত্র ৬ জয়ী ২ ইউনিয়নে স্থগিত

২১ ইউপি নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারের তিন উপজেলার ২১ ইউনিয়নের মধ্যে ১৯টি ইউনিয়নে বেসরকারি ফলাফলে ১০ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ৩ জন বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র রয়েছেন ৬ জন। ২টি ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
বেসরকাভিাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যানগণ হচ্ছেন কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের টিপু সুলতান, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের কামাল উদ্দিন, চৌফলদণ্ডি ইউনিয়নের মুজিবুর রহমান, উখিয়া উপজেলার রাজা পালং ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রত্না পালং ইউনিয়নের নুরুল হুদা, জালিয়া পালং ইউনিয়নের এসএম সৈয়দ আলম, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে মুজিবুর রহমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে খোদেস্তা বেগম রীনা, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, চাকমারকুল ইউনিয়নে নুরুল ইসলাম।
এছড়াও বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র বেসরকারিভাবে বিজয়ীরা হচ্ছেন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে শামসুল আলম, রশিদনগরে শাহ আলম, ঈদগড় ইউনিয়নে ফিরোজ আহমদ ভুট্টো (বিদ্রোহী), ফতেখারকুল ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো (বিদ্রোহী), কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে আবু ইসমাঈল মো. নোমান (স্বতন্ত্র), উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী গফুর উদ্দিন চৌধুরী, রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফিজুর রহমান, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল খালেক কোম্পানী, কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত এম, আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র), খুরুশকুল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের শাহজাহন ছিদ্দিকী এগিয়ে (এক কেন্দ্র স্থগিত) এবং উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরুল কায়েস চৌধুরী এগিয়ে (এক কেন্দ্র স্থগিত)।
এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কক্সবাজার জেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় রামু, কক্সবাজার সদর এবং উখিয়া উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যে সকল দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্দেশনা মোতাবেক দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া কোন কোন এলাকায় নৌকার প্রত্যাশী ছিলেন এমন অনেকেই কেন্দ্র থেকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন না তাদেরকেও একই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
নিজ নিজ এলাকার স্থানীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আওয়ামী লীগ।