এক লাখের বেশি মানুষ অনিশ্চয়তায়

চট্টগ্রামে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ

আট উপজেলায় টিকাদান বন্ধ

মোহাম্মদ কাইয়ুম  >
চট্টগ্রামে করোনার টিকার মজুদ ফুরিয়ে আসায় কার্যত বন্ধ রয়েছে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম। তবে বেশিরভাগকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় স্বল্প পরিসরে দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের টিকা। গতকাল রোববার পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্র এবং ৮ উপজেলা ছাড়া বাকি কেন্দ্রগুলোতে চলছে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম।
চট্টগ্রামের ভ্যাক্সিনের তথ্য ফরম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চট্টগ্রামে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে গতকাল রোববার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৫ জন। অর্থাৎ চট্টগ্রামে এখনও প্রথম ডোজের টিকাগ্রহীতা ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৫ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে পারেনি। তবে বর্তমানে চট্টগ্রামে মজুদকৃত ৫ হাজার ১৪০ ডোজ টিকা বাদ দিলে আরও ১ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে।
চট্টগ্রামে ৫ হাজার ১৪০ ডোজের মতো টিকা মজুদ থাকলেও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না সবাই। এক্ষেত্রে প্রতিটি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিদিন সীমিত সংখ্যক লোক দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছে। এদের মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তিন মাসের কাছাকাছি থাকা ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সম্মুখসারির যোদ্ধারা। বিশেষ ব্যবস্থায় টিকাদান কার্যক্রম চলায় কার্যত সাধারণ লোকজন পাচ্ছে না দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের সুযোগ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, রোববার পর্যন্ত টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার মধ্যে ৮ উপজেলায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হওয়া ৮ উপজেলাগুলো হলো লোহাগাড়া, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, রাউজান, বোয়ালখালী, সন্দ্বীপ এবং পটিয়া। তবে এখনো টিকার মজুদ থাকায় বাঁশখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, মিরসরাই, চন্দনাইশ এবং হাটহাজারী উপজেলায় চলছে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ছাড়া বাকি ১০টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের টিকা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সুপ্রভাতকে বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে ৫ হাজার ১৪০ ডোজের মতো টিকা মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ উপজেলা এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকার মজুদ শেষ হওয়ায় এসব কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৬ উপজেলা এবং নগরীর ১০টি কেন্দ্রে মজুদকৃত টিকা ৩ মাসের কাছাকাছিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে স্বল্প পরিসরে প্রদান করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা সম্পর্কে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী সুপ্রভাতকে বলেন, এখনও আমাদের হাতে কিছু টিকা মজুদ রয়েছে। এসব টিকা নগরীর কেন্দ্রগুলোতে ভাগ করে করে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে টিকার মজুদ শেষ হয়ে আসলে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হবে।