ইসলামী সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে ক্বিরাত সম্মেলন

জমিয়তুল ফালায় শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আন্তর্জাতিক ক্বারিদের পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। চট্টগ্রামে এ সম্মেলন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত শুনতে মানুষ বছরের পর বছর আসছেন। এসব আয়োজন ইসলামি সংস্কৃতির অংশ হিসাবে রূপ নিয়েছে।

তিনি গতকাল জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ২২তম আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের পৃষ্ঠপোষক ও পিইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ধর্মীয় বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে সবসময়। সারা দেশে বিপুলসংখ্যক মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছে। এটি আওয়ামী সরকার তথা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নতুন পাঠ্যসূচিতে দ্বীনি শিক্ষা বাস্তবমুখি করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিজ্ঞতা ও বাস্তবভিত্তিক সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। মূল্যায়ন হবে বছরব্যাপী। ফলে মুখস্থ লিখেই পরীক্ষায় পাস করার সুযোগ থাকবে না। চর্চার মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হবে। সিলেবাসে কোন বিতর্কিত বিষয় আমরা রাখবো না।

কোরআন তেলওয়াত ইসলামি সংস্কৃতির অনন্য নিদর্শন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের ইসলামি সংস্কৃতির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করে তুলতে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে বিশ্ববিখ্যাত কারীদের পবিত্র কুরআন তেলওয়াতে মুগ্ধ হয়েছেন ধর্মপ্রিয় হাজারো মানুষ। গতকাল শনিবার বাদ আসর শুরু হয়ে রাত ১০টায় শেষ হয় সম্মেলন।

ক্বিরাত সম্মেলনে মিসরের বিশ্ববিখ্যাত কারী শায়খ মাহমুদ কামাল নাজ্জার, ইরানের আহমাদ আবুল কাসেমী, ফিলিপাইনের নো’মান পিমবায়াবায়া, পাকিস্তানের কারী শায়খ আনোয়ারুল হাসান বুখারী ও বাংলাদেশের কারী শায়খ আহমদ বিন ইউসুফ আল-জহারী তেলওয়াত করেন।

পিএইচপি ফ্যামিলির পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক কোরআন তিলওয়াত সংস্থার (ইক্বরা) উদ্যোগে শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদ এ সম্মেলনের আয়োজন করে। আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ’র সঞ্চালনায় সম্মেলনে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, ইসলামি ফাউন্ডেশেন চট্টগ্রামের পরিচালক আবুল আহসান মো. বোরহান উদ্দিন, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক আলী হোসেন সোহাগ, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, খুরশিদুর রহমান, আনোয়ারুল হক, সিরাজুল মোস্তফা, সাইফুদ্দিন, প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমদ, আব্দুল হাই মাসুম, দিলশাদ আহমদ, এসএম শফি ও খুরশিদ আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।