আলুর দামে কারসাজি

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক »

মূল্য তালিকা ও ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করায় নগরীর পাহাড়তলী বাজারের আলু ব্যবসার সাথে জড়িত ৩ আড়তদারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির বিভাগীয় উপ পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ।

অভিযানে এলাহি ট্রের্ডাস, বিএম ট্রেডার্স ও জাহিদ অ্যান্ড ব্রাদার্সকে নামের তিন আলু আড়তদারকে ৫ হাজার করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির জেলা সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার।

জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে নগরীর বিভিন্ন বাজারে কৃত্রিম সংকটসহ নানা ইস্যু সৃষ্টি করে আলুর দাম বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে সবজি কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েন বাজারে আসা ক্রেতারা।

আরো পড়ুন >> এগ্রো সিন্ডিকেটের লোভের বলি আলুর বাজার : সুজন

তবে আলুর বাজারে কেন এ অস্থিরতা তার কোন সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এমনকি অভিযানের সময়েও তাদের কাছে মিলছে না ক্রয় রশিদ ও বিল ভাউচার। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা নানা ইস্যু সৃষ্টি করে আলুর বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সংস্থাটির বিভাগীয় উপ পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘পাহাড়তলী বাজারে অভিযানে ব্যবসায়ীরা দামবৃদ্ধির কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। তারা আমাদের বলেছেন, জয়পুরহাট, মুন্সিগঞ্জের আলু ব্যবসায়ীরা আলুর দাম নির্ধারণ করে দেন। যা তারা কমিশনে বিক্রি করছে। আর তাই আলুর দাম বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসা করতে হলে ব্যবসায়ীদের আইনি তথ্যগুলো ঠিক থাকতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ারও একটি কারণ থাকতে পারে। কারণগুলোও ব্যবসায়ীদের দেখাতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা না দেখিয়ে কেউ একজন দূর থেকে দর নির্ধারণ করে দিল, ঐ দামে সবাই বিক্রি করবে, তা হতে পারে না। আজকে (গতকাল) ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’