আনোয়ারা হাসপাতাল গেটে ফেলে গেল লাশ, গলায় আঘাতের চিহ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেট থেকে বাঁশখালীর সেলিনা আকতার (২৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে স্থানীয়রা হাসপাতালের গেইটে লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস’লে গিয়ে লাশটি উদ্বার করে। তার গায়ের রং উজ্জল শ্যামলা পরনে ছিল নীল রঙের সোলোয়ার কামিজ।

আনোয়ারা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক এমরান হোসেন খন্দকার জানান, ভোরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর  পেয়ে আনোয়ারা হাসপাতাল গেট থেকে লাশটি উদ্ধার করি। লাশের গলায় দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। পরে কে বা কারা লাশটি এখানে ফেলে চলে যায়। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, গত বছর ১৯ জুন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মিঠাছড়ি গ্রামের মালুমঘাট এলাকার মোহাম্মদ নোমানের পুত্র সাকিবের সাথে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের জেবল হোসেনের মেয়ে সেলিনা আকতারের বিয়ে হয়। স্বামী স্ত্রী দুজনই কেইপিজেডে চাকরি করতেন। বৈরাগ তেলের দোকান এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। এটি সেলিনা আকতারের দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের সংসারে আদনান হোসেন নামে ৪ বছরের এক ছেলে রয়েছে।  ছেলেটি বাঁশখালী উপজেলায় তার নানার বাড়িতে থাকে।

প্রতিবেশী হারুনুর রশিদ বলেন, সকালে কাজে না যাওয়াতে সেলিনার স্বামী সাকিবকে ফোন দিই। ওই সময় সাকিব জানায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়াতে তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে আনোয়ারা হাসপাতালে গেছেন। পরে খবরটি সেলিনার ভাইকে জানালে তারা হাসপাতালে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, বুধবার ভোরে কে বা কারা জরুরি বিভাগের বাইরে ওই নারীর লাশ রেখে যায়। হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা লোকজন ভোরে দরজা খুলে বের হলে লাশটি দেখতে পান। পরে বিষয়টি আনোয়ারা থানা পুলিশকে জানানো হয়।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে ময়নাতদনেত্মর রিপোর্ট প্রয়োজন। তবে নিহতের গলায় রশির দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।