আইপিএল খেলে অজি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেই হতে পারে হাজতবাস

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিন রেকর্ড হারে সংক্রমণ বাড়ছে, মারণ ভাইরাসের বলিও হচ্ছেন অনেকে। এমনকি দৈনিক সংক্রমণে আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। এই অবস্থায় এর আগে বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই ভারত থেকে নিজেদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এবার অস্ট্রেলিয়াও বড় পদক্ষেপ নিল। ভারত থেকে এই মুহূর্তে কেউ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করলে শাস্তিস্বরূপ জরিমানা, প্রয়োজনে হাজতবাসের মুখেও পড়তে হবে। অস্ট্রেলীয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সবচেয়ে বেশি বিপাকে আইপিএল-এ অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটাররা। মে মাসের শেষদিকে টুর্নামেন্ট খেলে দেশে ফেরার পর তাদের কপালে জুটতে পারে এই কঠিন শাস্তি। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই প্রথমবার এভাবে বাইরের দেশ থেকে নাগরিকদের ফেরা ‘অপরাধমূলক কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়।
এই মুহূর্তে ভারতে চলছে জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল ১৪। এতে অংশ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্তত ১৪ জন ক্রিকেটার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথদের মতো হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটাররা খেলছেন আইপিএল-এ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দলগুলিতে। এছাড়াও রয়েছেন প্রচুর সাপোর্টিং স্টাফ। ৩০ মে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। তারপর অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা দেশে ফিরতে পারবেন। করোনা আবহে নিরাপদে তাদের দেশে ফেরানোর দায়িত্ব ভারতের, এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার নয়া কোভিড বিধি অনুযায়ী, দেশের মাটিতে পা রাখলেই যে তাদের কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে এবার। ৩৭ হাজার পাউন্ড আর্থিক জরিমানা কিংবা ৫ বছরের কারাবাস। শুক্রবার অস্ট্রেলীয় প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট আলাদা বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানান।
অস্ট্রেলীয় প্রশাসনের এই নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে সোমবার, ৩ মে থেকে। আপাতত ১৫ তারিখ পর্যন্ত তা জারি থাকবে। এরপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে খবর। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে আগেই ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই মুহূর্তে এখানে প্রায় ৯ হাজার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রয়েছেন ভারতে। তারা যে কোনও সময়ে দেশে ফিরতে চাইতে পারেন। ঘুরপথেও দেশে ফেরার চেষ্টা করতে পারেন। তবে দেশের মাটিতে নামলেই এবার কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাদের। অস্ট্রেলিয়ায় এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভাল। সেই পরিস্থিতির অবনতি আর যাতে না হয়, সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া এবার আরও কড়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল।