সুপ্রভাত ডেস্ক
রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৫ টাকা পাবেন। নতুন এ দাম গতকাল রোববার (২ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত (ডলারপ্রতি ১০৭ টাকা) রাখা হয়েছে।
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এক বৈঠকে নতুন এ দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর জাগোনিউজ।
বাফেদা ও এবিবির এ সিদ্ধান্ত সব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এবিবি-বাফেদার নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারকরা আগের তুলনায় আরও বেশি অর্থ পাবেন।
ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বাফেদার চিঠিতে বলা হয়, এখন থেকে রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতি ডলারের দাম হবে ১০৫ টাকা। গত ১ মার্চ রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দাম ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে রফতানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দাম ১০৩ টাকা আর গত বছরের আগস্টে এ দাম ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম বাড়ানো হলেও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে তা আগের মতোই রয়েছে। অর্থাৎ রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার ১০৭ টাকায় রাখা হয়েছে। প্রবাসীরা বৈধ পথে বিদেশ থেকে যে ডলার পাঠাবেন তার বিপরীতে ডলারপ্রতি পাবেন ১০৭ টাকা। আর আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য হবে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের জন্য ঠিক করা দামের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি।
রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দেশে ডলারের চরম সংকট দেখা দেয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সংকট নিরসন না হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। তখন ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি-বাফেদাকে। এরপর থেকে এ দুটি সংগঠন ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।