সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ সময় জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যস্ত থাকবেন।
জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফর করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া আসরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছাড়াই আয়োজনের পরিকল্পনা বিসিবির।
বিসিবি গেম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, জানুয়ারিতে ডিপিএল করার ভালো একটি স্লট রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর ডিপিএল সম্ভব নয়। আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু করতে পারি। কারণ নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করতে ও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তা শেষ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এ বছরে কোন স্লট নেই।
সুজন আরো বলেন, এরমধ্যে ক্লাবগুলোকে অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে হবে। খেলোয়াড়দের একত্রিত করতে হবে। তাই আমি মনে করি না, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বা ১০ তারিখ ডিপিএল শুরু করা সম্ভব হবে।
তিনি জানান, ক্লাবগুলো যদি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তা করে, তবে জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে পরের বছরও ডিপিএল আয়োজন কঠিন হবে।
সুজন যোগ করেন ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা সময়ও আমাদের দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতো। আমরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেললে, ঘরোয়া আসরে খেলতে পারবে না। এটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
সুজন স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনেক সমস্যার থাকলেও, ডিপিএল অব্যাহত রাখতে সমস্যা নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি সিঙ্গল লিগ করি, আরো ১০ টি ম্যাচ বাকি আছে, কত দিন লাগবে, এটিও ভাবনার বিষয়। সবকিছু সত্যিই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর ক্লাবগুলিও সিসিডিএমের সঙ্গে না বসে তারা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তবে আমি যা বলতে পারি তা হচ্ছে বিসিবি ইতিবাচক।
মাহমুদ জানান, বিসিবি খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয় নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করছে। কারণ বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের পরিবার ডিপিএল-এর উপর অনেক বেশি নির্ভর করে থাকে।
‘তবে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, তা ইতিবাচক। আমরা চাই লিগটি শুরু হোক। ডিপিএল অনেক খেলোয়াড়কে আর্থিক নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। কারণ এটির দ্বারা তারা তাদের পরিবার এবং সমস্ত কিছু নির্ভরশীল’।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আর্থিকভাবে ক্লাবগুলোতে প্রভাব ফেলেছে। তাই ডিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহী নন তারা। ক্লাবগুলির জন্য প্রণোদনার ব্যাপারে কথা হয়েছিল।
সুজন জানান, ক্লাবগুলিকে প্রণোদনা দেয়ার মত অবস্থাতে নেই বিসিবি। তবে তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে বিসিবি। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা